যাদের দক্ষিণ কোরিয়া নিয়ে ধারণা আছে তারা এই ব্যাপারটা সহজেই বিশ্বাস করতে পারবেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে এই দেশের আইন যেমন ভিন্ন, তেমনি সেখানকার মানুষের চিন্তা ভাবনাও ভিন্ন। কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ কোরিয়া জনসংখ্যা কমার খবরের শিরোনাম হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মহার ভয়ংকরভাবে কমে যাচ্ছে। ২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার নেমে গিয়েছে ০.৭৮ শতাংশে। যা পুরো বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম। দেশটির নারীদের মধ্যে সন্তানধারণের প্রবণতা কমছে। এর জেরে জন্মহার তলানিতে এসে ঠেকেছে।
আরও পড়ুন
জাপানে যে কারণে রাস্তাঘাটে ময়লা ফেলার ডাস্টবিন নেইতবে এর পরিবর্তে পোষ্যদের দেখাশোনার প্রবণতা বেড়েছে। সম্প্রতি এমনই এক তথ্য জানা গেছে জিমার্কেট নামের একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম অপারেটর থেকে। তারা জানিয়েছেন ২০২৩ সালে পোষ্যদের জন্য ৫৭ শতাংশ স্ট্রোলার বিক্রি হয়েছে। যেখানে শিশুদের জন্য স্ট্রোলার বিক্রি হয়েছে ৪৩ শতাংশ। ২০২১ সালে অবশ্য পোষ্যদের জন্য ৩৩ শতাংশ এবং শিশুদের জন্য ৬৭ শতাংশ স্ট্রোলার বিক্রি হয়েছিল।
২০১২ সালে যেখানে ৩৬ লাখ পরিবারে পোষ্য ছিল। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ লাখ। যে কারণেই স্ট্রোলার বিক্রিতে এই পরিবর্তন। নিম্ন জন্মহারকে ‘ন্যাশনাল এমার্জেন্সি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়েল।
জন্মহার বাড়াতে বিভিন্ন পরিকল্পনাও করছে সে দেশের সরকার। বিভিন্ন স্কিমের ঘোষণা করেছে সে দেশের সরকার। সন্তান নিলে যুগলদের আর্থিক সাহায্য, করছাড়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও যে পরিস্থিতির খুব একটা বদল হয়েছে এমন নয়। জন্মহারের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ায় বিয়ের প্রবণতাও কমেছে। যা নিয়েও উদ্বেগে সে দেশের প্রশাসন। তাতেও নানান সুযোগ সুবিধার কথা বলছে সরকার।
আরও পড়ুন
সবচেয়ে বড় হাত-পা এখন ১৬ বছরের এরিকের অন্যের বিয়ে ভেঙে মাসে আয় করেন লাখ টাকাসূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট
কেএসকে/এমএস