আন্তর্জাতিক

গাজা সফরে যাবেন ট্রাম্প

গাজা উপত্যকায় যাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গাজা সফরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। ইসরায়েলের ঘনিষ্ট মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রে সফর করেছেন নেতানিয়াহু।

এদিকে হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আমি ইসরায়েলকে ভালোবাসি আমি সেখানে সফর করবো। আমি গাজা, সৌদি আরব এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যসব দেশগুলোতেও সফর করবো। তবে তার এই সফরের নির্ধারিত সময়সূচি তিনি উল্লেখ করেননি।

ফিলিস্তিনিদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে সরিয়ে গাজার নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চান বলেও জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বিশ্বের মানুষ যেন সেখানে বসবাস করতে পারে সেজন্য গাজাকে পুনর্গঠনও করতে চান তিনি।

এর প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ট্রাম্পের এমন প্রস্তাবে এই অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। গাজার মানুষ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে দেবে না বলেও জানানো হয়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহুর মতো একজন যুদ্ধাপরাধীকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ওয়াশিংটনে ফিলিস্তিনপন্থিরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছে। গাজাযুদ্ধে ইসরায়েল ৬১ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ। হতাহতদের অধিকাংশই নারী এবং শিশু।

আরও পড়ুন: গাজার নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব আফগানিস্তানে হাজারের বেশি মাতৃমৃত্যুর শঙ্কা

অন্যদিকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দৃঢ় সমর্থনের কথা জানিয়েছে সৌদি আরব। পাশাপাশি নিজেদের ভূমি থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টাকেও প্রত্যাখ্যান করছে দেশটি। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠবে না।

টিটিএন