ছাত্রদলের কমিটিতে ছাত্রলীগের নেতারা : হাছান মাহমুদ


প্রকাশিত: ০৭:৪১ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছাত্রলীগের নেতারাও স্থান পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, আমরা পত্রিকায় দেখলাম ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে শুধু ছাত্র নয়, ছাত্রদের বাবারাও স্থান পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে রাজনৈতিক যোগাযোগ বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়ে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ডেপুটি চিফ অফ পার্টি কেটি ক্রোক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক জেদ্দা পারভীন খান রিমি।

হাছান মাহমুদ বলেন, ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটি দেখে হতাশ হয়েছি। কেন্দ্রীয় কমিটির আকার হচ্ছে ৮শ` জনের কাছাকাছি। আমাদের সময় কেন্দ্রীয় কমিটির আকার থাকতো ৬০-৭০ জনের মত।

তিনি প্রশ্ন করে বলেন, এখন এ কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক কি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হবে নাকি কোনো হল ভাড়া করে করতে হবে?

তিনি বলেন, এই কমিটি নাকি গঠন করা হয়েছিল কোন্দল কমানোর জন্য। কিন্তু কমিটি গঠনের পর দেখলাম বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আগের মতোই ভাঙচুর করা হচ্ছে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এই ধরনের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে বিএনপি রাজনীতির চরম দৈন্যতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বােধন করে হাছান মাহমুদ বলেন, এ থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণ।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন যখন বলেন, বাংলাদেশের অবস্থার অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। তখন রাত ১২টার পর টকশোতে কে কি বললেন তাতে দেশের কিছুই আসে যায় না।

তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংক তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। তারা যখন পদ্মা-সেতুর জন্য টাকা নিতে বলেছে তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন পদ্মা সেতুর জন্য এখন আমাদের টাকার দরকার নেই।

এএম/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।