ডিমলায় বিরল প্রজাতির শকুন উদ্ধার
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পুর্বছাতনাইয়ে বিরল প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার দুপুরে শকুনটি অসুস্থ হয়ে অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
বিকেলে শকুনটি ডিমলা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। উদ্ধার হওয়া শকুনটির পায়ে একটি স্টিলের টোকেন জাতীয় সিল রয়েছে। তাতে লিখা রয়েছে ঢাকা ১৩/২৬। এতে ধারণা করা হচ্ছে- বিরল প্রজাতির শকুনটি চিড়িয়াখানার হতে পারে।
পুর্বছাতনাই ইউনিয়নের গহরপুর বিএমআই কলেজের অধ্যক্ষ সুলতান আলী জানান, দুপুরে শকুনটি প্রথমে তার বাড়ির শিমুলগাছে এসে বসে। এরপর তার বাড়ির অদূরে নাউতারা নদীতে গিয়ে শুকুনটি উড়ে গিয়ে পড়ে গেলে আর উড়তে পারছিল না। পরে এলাকাবাসীকে ডেকে এনে নদী থেকে শুকুনটি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ডিমলা উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে যোগাযোগ করে বিকালে শকুনটি তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ চিকিৎসক সারা বানু তহুরার সাথে। তিনি বলেন, বিরল প্রজাতির শকুনটির পায়ে টোকেন ১৩/২৬ লিখা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এটি চিড়িয়াখানার শকুন হতে পারে।
নীলফামারীর জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন জানান, বিষয়টি জানার পর রংপুর বন-বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা এসে শকুনটি নিয়ে রংপুর চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর করবে।
সূত্রমতে, এটি ভালচার নামে বিরল প্রজাতির শকুন। এ ধরনের শকুন এখন আর দেখা যায় না। এ প্রজাতির শকুন এখন বিলুপ্তির পথে। দেশ স্বাধীনের আগে শকুনের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেলেও এখন আর তেমনটা চোখে পড়ে না। এটি যে চিড়িয়াখানার শকুন এতেই মনে করা হচ্ছে।
জাহেদুল ইসলাম/এআরএ/পিআর