ঠাকুরগাঁওয়ে এক বাড়িতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার হামলা
ঠাকুরগাঁও শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার জগদীশ চন্দ্রের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মারুফের নেতৃত্বে বুধবার দুপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বাসস্ট্যান্ড এলাকার জগদীশ চন্দ্র প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করে আসছে। আর জগদীশের বাড়ির পাশে রয়েছে পরিত্যক্ত এক পারিবারিক গোরস্থান রয়েছে। জগদীশ বাড়ির পাশে ক্রয়কৃত জমির উপর প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত ওই জায়গাকে গোরস্থানের জমি বলে দাবি করে।
পরে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত জগদীশের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় বাড়ির প্রাচীর ভাঙচুর ও জগদীশকে মারপিট করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত জগদীশকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এখন প্রতিনিয়ত ওই সংখ্যালঘু পরিবারকে বাড়ি ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে ওই সাবেক ছাত্রলীগ নেতার লোকজন।
আহত জগদীশ জানান, আমি প্রায় ৩০ বছরে ধরে এই বাড়িতে থাকি। বাড়ির পেছনের একটি খাস জমি রয়েছে। ওই জমিটি পরিত্যক্ত গোরস্থান। কিন্তু কিছু দুর্বৃত্ত ওই জমির ভোগ দখলের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তাই আমাকে এখান থেকে উচ্ছেদ করার পরিকল্পনায় এই হামলা চালিয়েছে। তার ভয়ে আমি কোথাও অভিযোগও করতে পারছি না।
প্রতিবেশি মুক্তিযোদ্ধা হাফিজ উদ্দিন জানান, যুদ্ধের পর থেকেই জগদীশের বাবার ক্রয়কৃত জমি এটা। এই জমির উপর কোনো গোরস্থান ছিল না। গোরস্থান তার পাশের জমিতে। গোরস্থান দাবি করে এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।
ঠাকুরগাঁও ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি কুরবান আলী জানান, মারুফ এর আগে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল। বর্তমানে ছাত্রলীগে তার কোনো পদে নেই। তাই এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমি শুনেছি গোরস্থানের জমি দখলের কারণে এলাকাবাসী হামলা করেছে। উদ্দেশ্যপ্রণীত ভাবে হামলার ঘটনায় আমার নাম এসেছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর হামিদুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে জগদীশের বাড়িতে গিয়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই আলোচনায় বসা হবে।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আব্দুল মান্নান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রবিউল এহ্সান রিপন/এআরএ/পিআর