যা দিবেন তাতেই খুশি


প্রকাশিত: ০৭:২৪ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

‘খুশি হয়ে মন যা চায়, তাই দিন। বকশিশ না দিলেও লিখে নিন। ভাষার রাত। আল্পনা করে নিলে ভালো লাগবে আমাদেরও।’ রংতুলি হাতে নিয়ে আল্পনা এঁকে দেয়ার জন্য পথ আগলে দাঁড়াচ্ছিলেন আলম, সুলতানা আর বোরহান।

আলম পাঠশালায় ডকুমেন্টরি তৈরির কাজ করেন। সুলতানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ থেকে পড়াশোনা সবে শেষ করেছেন। বোরহান সিঙ্গাপুর থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। বন্ধু আলম আর সুলতানাকে সঙ্গ দিতেই বোরহান শাহবাগে এসেছেন আজ।

রাত তখন ১২টা ছুঁইছুঁই। ওদের তিনজনের হাতেই তুলি আর রংয়ের কৌটা। কেউ আল্পনা করছেন, কিউ পথচারীর পথ আগলে ধরছেন। কেউ ওদের আহ্বানে সাড়া দিচ্ছেন আবার কেউ পাশ এড়িয়ে চলে যাচ্ছেন।


আল্পনা করে কোনো নির্দিষ্ট টাকা চাইছেন না। খুশি হয়ে যে যা দিচ্ছেন তাতেই ওদের সন্তুষ্টি। শাহবাগে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই ভোর পার করবে ওরা। সকালে শহীদ মিনার এলাকায় যাবে। নতুবা এখানেই।

সুলতানা বলছিলেন, ‘এমন রাতে তো আর ঘরে থাকা যায় না। তাই বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়ে পড়েছি। ভালো লাগছে হাতে হাত রেখে আল্পনা করতে। টাকার জন্য মূলত আল্পনা করতে আসা নয়। আনন্দ এবং ক্ষণিকের জন্য স্মৃতি ধরে রাখতেই আল্পনা করে দিচ্ছি।’


‘কেউ খুশি হয়ে যা দেয় তাতেই আমরা খুশি’ এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করে আলম বলেন, ‘কারো হাতে বা গালে আল্পনা করে দিচ্ছি বিশেষ আনন্দ নিয়ে। শহীদ মিনার, দেশের পতাকা, দেশের মানচিত্র আঁকার মজাই তো আলাদা। আর এঁকে দেয়া প্রতি জনের সঙ্গে স্মৃতিও থাকছে।

এএসএস/ এসআই/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।