সবার নিশানা যেন শহীদ মিনার
কারো হাতে ফুল, কারো হাতের ফুলের ডালা। কেউ কেউ দল বেঁধে আবার কেউ একাই চলছেন। তাদের অনেকেই খালি পায়ে। সবার ঠিকানা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। নিশানা ফুলে ফুলে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো।
রাত ১২টার পর থেকেই রাজধানীর সকল রাস্তা যেন মিলে গেছে শহীদ মিনারে। শহীদদের প্রতি ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা জানানোর পরপরই মানুষের ঢল নামে শহীদ মিনারে।
রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শহীদ মিনার ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, গুলিস্তান, নীলক্ষেত এলাকায় সর্বসাধারণের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এসব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে এখনও।
দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষেরা শহীদ মিনারে যেতে শুরু করেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলে মিছিলে শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যায় শহীদ বেদীতে। শহীদদের শ্রদ্ধা স্বরূপ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা।
এসময় ‘আমার ভাইয়ের রক্ত রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ শিরোনামের গানটি করুণ সুরে গাইতে থাকেন অনেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে শহীদ মিনারে।
তিনি বলেন, ‘স্কুল থেকেই একুশের প্রথম প্রহরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর এই আবেগ আরো বেড়ে গেছে। এ রাতে আর ঘুম হয় না। ভোর পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গেই থাকবো।’
রাজধানীর কুড়িল বিশ্ব রোড এলাকা থেকে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাজমুল হক হৃদয় এসেছেন শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে। তিনি বলেন, ‘একুশের প্রথম প্রহর। অনেক দিন থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি, শহীদ মিনারে আজ ফুল দেবো। দুই বন্ধু মিলে এসেছি। শ্রদ্ধা জানিয়ে দু’জনে মিলে ঘুরছি। সকালে বাসায় যাবো।’
এএসএস/ এসআই/এমএইচ/বিএ