নিহত ছাত্রের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ট্রাকচাপায় নিহত ছাত্রের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে ওই পরিবারের একজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার দাবি করেছেন তারা।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন মাহমুদ সাকি।
দাবিগুলো হলো-
১. এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; একটি হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিচার করতে হবে।
২. ভুক্তভোগীর পরিবারকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ১০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আহত দুজনের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে হবে।
৩. ভুক্তভোগীর পরিবার নয়, প্রশাসনকে হত্যাকাণ্ডের মামলার বাদী হতে হবে।
৪. প্রক্টরকে দেড়ঘণ্টা ধরে ২৫ বার ফোন দেওয়া হয় কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি এবং ঘটনাস্থলেও আসেননি। ঘটনার দায় প্রক্টরিয়াল বডি কোনোভাবে এড়াতে পারে না। তাই দায় ঘাড়ে নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডিকে পদত্যাগ করতে হবে।
৫. নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মারা গেছেন। পরিবারে ছোট বোন ও মা আছেন। মা অসুস্থ। তাই পরিবারের একজন সদস্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দিতে হবে। এবং
৬. অবিলম্বে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে জবাবদিহি করতে হবে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে হবে।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শাকিলা খাতুন বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্যারিস রোডের উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু।
রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান হলের সামনে নির্মাণাধীন বিজ্ঞান ভবনের পাশে ট্রাকচাপায় নিহত হন মাহবুব হাবিব হিমেল। এরপর থেকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সহপাঠী হত্যার বিচারের দাবি তুলে আন্দোলন করছেন। তারা পাঁচটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন। এছাড়া ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে সহপাঠী হত্যার বিচার দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
এসআর/কেএসআর/