বাবার দোয়া নিয়ে হলে উঠলেন ফুলপরী
চোখে কিছুটা পানি। সেটা ভয়ের নাকি আনন্দের বোঝা গেলো না। তবে বাবা মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, ভয় পাস না, সবাই আছে তোর পাশে। বাবার এমন অভয় ও দোয়া নিয়ে রোববার (১২ মার্চ) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে উঠেছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনের শিকার ফুলপরী খাতুন।
দুপুর সোয়া একটায় মালপত্র নিয়ে পুলিশি প্রহরায় বাবার সঙ্গে ক্যাম্পাসে আসেন ফুলপরী। এরপর হলে তার জন্য বরাদ্দ কক্ষে ওঠেন তিনি।
ফুলপরী বলেন, মনে হচ্ছে নতুন করে ক্যাম্পাস জীবন শুরু করছি। অনেকটা পিছিয়ে গেছি। এবার স্বপ্ন পূরণের পালা। এসময় তিনি সবার সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।
এদিকে, তার হলে ওঠার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ওই শিক্ষার্থী আজ তার বাবার সঙ্গে হলে এসেছেন। আমরা তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ অন্য ব্যবস্থা করে রেখেছি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ আরও সাত-আটজন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।
পরে এ ঘটনায় ইবির পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও একই বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান।
এর মধ্যে সানজিদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। অন্যরা ছাত্রলীগের কর্মী। এছাড়া নির্যাতনের ঘটনায় ওই পাঁচজনকেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
রুমি নোমান/এমআরআর/জেআইএম