মারিয়ার মৃত্যুতে উত্তাল শেকৃবি, শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ দাবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক শেকৃবি
প্রকাশিত: ০৮:৪১ পিএম, ৩১ মার্চ ২০২৩

আবাসিক হলের দশ তলা থেকে লাফ দিয়ে মারা যাওয়া শিক্ষার্থী মারিয়া রহমানের মৃত্যু নিয়ে উত্তাল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)। এ নিয়ে দফায় দফায় মিছিল-মিটিং করেছেন শেকৃবি শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন, শিক্ষার্থীবান্ধব পড়ালেখার পরিবেশ তৈরি করাসহ বেশ কয়েক দফা দাবি জানান তারা।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) জুমার নামাজের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে একত্রিত হন। এ সময় তারা মারিয়ার মৃত্যুর জন্য একাডেমিক চাপ, পরীক্ষা পদ্ধতি এবং কয়েকজন শিক্ষকের অমানবিক আচরণকে দায়ী করেন।

একই সঙ্গে তারা মারিয়ার মৃত্যুর যথার্থ কারণ উদঘাটন, যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হয়েছে কি না- তা উদঘাটনের দাবি জানান। এছাড়াও পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন ও শিক্ষার্থীবান্ধব পড়ালেখার পরিবেশ তৈরি করা এবং শিক্ষকদের অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা প্রয়োগ বন্ধসহ বেশ কয়েক দফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধেরও দাবি তোলেন তারা।

আরও পড়ুন: শেকৃবিতে হলের ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যাচেষ্টা ছাত্রীর

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, আন্দোলনের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর চান। আবার ছাত্র পরামর্শক স্যার আরেক শিক্ষার্থীকে মারতে আসেন। এগুলো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু কার্যক্রম হতে পারে না। আমরা চাই এগুলো বন্ধ হোক। শিক্ষকরা সবসময় পাওয়ার প্রাক্টিস করলে আমরা কোথায় যাবো!

অভিযোগ ওঠে, ৭৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মারিয়া রহমান একাডেমিক বিষয় নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে গত ২৪ মার্চ আবাসিক হলের ১০তলা থেকে লাফিয়ে আত্মাহত্যার চেষ্টা করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এক সপ্তাহ পর গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মারিয়া।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মতে মানসিক সমস্যার কারণে মারিয়া আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। শর্ট টেম্পারসহ মারিয়ার বেশ কিছু মানসিক সমস্যার বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে বলেও দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এদিকে, ছাত্র পরামর্শ ও পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বলেন, এমন অনেক কিছু হয়তো ছিল যেগুলো করা যেত, আবার এমন অনেক কিছু ছিল হয়তো করা উচিত ছিল না। মারিয়া মারা গেছেন এটাই সত্য। তোমাদের দাবিগুলো শুনেছি। তোমাদের দাবির সঙ্গে আমি একমত। তোমাদের দাবিগুলো আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। আমরাও বুঝতে পেরেছি আমাদের মধ্যেও অনেক গলদ ছিল, আছে। আমি তোমাদের দাবিগুলো উপাচার্যের কাছে বলবো। আর পরীক্ষার হলে তোমরা না আসলে আমরা পরীক্ষা নেবো না। তবে উপাচার্য যদি চান অফিসিয়ালি (পরীক্ষা) বন্ধ করবেন।

তাসনিম আহমেদ তানিম/কেএসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।