বিজিবি-বিএসএফের মহানুভবতায় জিরো পয়েন্টে মা-মেয়ের শেষবিদায়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ১০:০৪ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সীমান্তের এপারে মায়ের মরদেহ, ওপারে মেয়ের বুকফাটা আর্তনাদ। অবশেষে বিজিবি-বিএসএফের মহানুভবতায় সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বাংলাদেশি মাকে শেষবিদায় জানালেন এক ভারতীয় মেয়ে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশনের সামনে জিরো পয়েন্টে এই ঘটনা ঘটে। মৃত ওই মায়ের নাম আছিয়া খাতুন। তিনি দেবহাটা উপজেলা সদরের শেখ মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী। আর মেয়ে ফরিদা খাতুন ভারতীয় নাগরিক আনছার মোল্লার স্ত্রী।

বিজিবি-বিএসএফের মহানুভবতায় জিরো পয়েন্টে মা-মেয়ের শেষ বিদায়

জানা যায়, সাতক্ষীরার দেবহাটা সদরে বার্ধক্যজনিত কারণে আছিয়া খাতুন বুধবার সকালে মারা যান। মেয়েকে জানানো হলে মেয়ে শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এসময় ভোমরা ইমিগ্রেশনের সামনে জিরো পয়েন্টে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উপস্থিতিতে মায়ের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসা হয়। ওদিকে ভারতীয় নাগরিক মেয়েকে নিয়ে আসেন বিএসএফ সদস্যরা। এসময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সেখানে মৃত মাকে জড়িয়ে ধরে মেয়ের কান্নার দৃশ্য উপস্থিত সবার চোখ ভিজিয়ে দেয়।

বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ এ মহানুভবতার ঘটনায় উভয় দেশের নাগরিকদের মধ্যে বন্ধুত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

বিজিবি-বিএসএফের মহানুভবতায় জিরো পয়েন্টে মা-মেয়ের শেষ বিদায়

সাতক্ষীরা-৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক জানান, ভারতের কল্যানীর ১০২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভোমরা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো. আফজাল হোসেন খান ও ভারতের ঘোজাডাঙ্গা কোম্পানি কমান্ডার এসি নবিন কুমারের উপস্থিতিতে বাংলাদেশি মৃত মায়ের মুখ মেয়েকে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশনের সামনে বিজিবির উপস্থিতিতে মৃত মায়ের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে আসা হয়। ওদিকে ভারতীয় নাগরিক মেয়েকে নিয়ে আসেন বিএসএফ সদস্যরা। সেখানে অ্যাম্বুলেন্সে বসেই মৃত মায়ের মুখ শেষবারের মতো দেখেন ভারতীয় নাগরিক মেয়ে। এসময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

মাত্র ১৫ মিনিট হলেও নাড়ির বন্ধন প্রতিষ্ঠিত করতে বিজিবি ও বিএসএফের এ মহানুভবতা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকলো বলে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মৃতের স্বামী শেখ মোহাম্মদ আলী ও মেয়ে ভারতীয় নাগরিক ফরিদা খাতুন।

আহসানুর রহমান রাজীব/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।