টাঙ্গাইলে ফুলের দোকান ভাঙচুরের পর আতঙ্কে ঘুড়ি উৎসব বন্ধ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০৯:৩১ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

টাঙ্গাইলে ফুলের দোকানে হামলার পর আতঙ্কে পাশের ঘুড়ি উৎসব বন্ধ করে দিয়েছেন আয়োজকরা। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গোপালপুর উপজেলার নলীন বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ উৎসব হওয়ার কথা থাকলেও সেটি আর হয়নি।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের মামা গিফট কর্নারে ভাঙচুর করে তৌহিদী জনতা। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং উৎসব বিরোধী লিফলেট বিতরণ করেন।

আয়োজকরা জানান, ওই লিফলেট বিতরণের পরও ঘুড়ি উৎসব বাস্তবায়নের কাজ চলছিল। কিন্তু ফুলের দোকানে হামলার ঘটনার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে উৎসব না করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেই আমরা। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উৎসবের অন্যতম সংগঠক নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঞ্জু আনোয়ারা বলেন, প্রতি বছর এ উৎসবে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তিন-চার শতাধিক মানুষ ঘুড়ি ওড়াতে আসেন। এ উপলক্ষে সেখানে লোকজ গানের আয়োজনও করা হয়। এবার উৎসবের বিরোধিতা করে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। সরাসরি এসে কেউ বাধা দেননি। তবে ফুলের দোকানে হামলার পর ঘুড়ি উৎসব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইলে ফুলের দোকান ভাঙচুরের পর আতঙ্কে ঘুড়ি উৎসব বন্ধ

উদীচী ভূঞাপুরের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মেহেদী হাসান জানায়, ভালবাসা দিবসের বিভিন্ন ঘটনার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বসন্ত বরণের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তীতে বসন্তবরণ অনুষ্ঠান করা হবে।

ভুক্তভোগী ফুল দোকানদার আলম জানায়, ভালবাসা দিবসে কেন ফুল বিক্রি করছি সেটাই অপরাধ। আরেকটি দোকান ভেঙেছে তাও কিছু বলিনি। আগেরদিন তারা নিষেধ করে গিয়েছিল।

এ বিষয়ে গোপালপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফৌজিয়া হাবিব খান বলেন, ঘটনার বিষয়টি জানা নেই। ঘুড়ি উৎসব বন্ধ হওয়ার বিষয়েও কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

এ বিষয়ে গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তুহিন হোসেনকে সাংবাদিক পরিচয়ে কল দিলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

আরএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।