কুষ্টিয়ায় অবৈধ যানবাহন নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ০৪:১১ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কুষ্টিয়ায় অবৈধ স্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলির ধাক্কায় দুই স্কুল শিক্ষার্থীর নিহতের ঘটনায় মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে মুকুল সংঘ বিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচশতাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশ নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অভিভাবকরাও। এসময় তারা এসব অবৈধ যান বন্ধের দাবি জানান।

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ও বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি কুষ্টিয়া শাখা আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে অবৈধ এসব যানবাহন বন্ধের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

নিসচার কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি কে এম জাহিদ বলেন, অবৈধ যানবাহনের ফলে সড়কে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মিছিল চলছে। অবৈধ অস্ত্র যেমন নিষিদ্ধ, আমি মনে করি প্রাণঘাতী এসব যানবাহনও নিষিদ্ধ করা জরুরি।

অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে পুলিশের অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ দাবি করে জাহিদ বলেন, কুষ্টিয়া শহরে অবাধে চলছে বালুভর্তি ডাম্প ট্রাক ও শ্যাল ইঞ্জিনচালিত ট্রলি। এতে স্কুলগামী শিশুরা জীবন সংকটে পড়ছে।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মুকুল সংঘের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী উর্মিলা মুক্তি বলেন, সড়কে চলাচল করতে খুব ভয় হয়। ট্রলি ও বালুর গাড়ি বেপরোয়াভাবে চলে। রাস্তা পার হতে প্রায়ই বড়দের সাহায্য নিতে হয়। এতে অনেক সময় স্কুলেও দেরি হয়।

নিসচার সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী বাবু বলেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শ্যালও ইঞ্জিনচালিত নসিমন, করিমন ও ট্রলি অবাধে চলাচল করছে। শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বালির ট্রাক। এভাবে একটি শহর চলতে পারে না।

এর আগে গত রোববার স্কুল গেটে ট্রলির ধাক্কায় নিহত হন শহরের প্রতীতি বিদ্যালয়ের প্লে শ্রেণির শিক্ষার্থী ইব্রাহিম। পরদিন সোমবার দৌলতপুরে বাবার খাবার নিয়ে মাঠে যাওয়ার পথে ট্রলিচাপায় আশিক নামে এক পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারা যান।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীল বলেন, এসব অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে কঠোর অভিযান শুরু হয়েছে।

আল-মামুন সাগর/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।