এক ভোলের দাম সাড়ে ৩ লাখ টাকা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরগুনা
প্রকাশিত: ০৪:৪৮ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২৫

বরগুনার পাথরঘাটায় বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়েছে ৩৪ কেজি ওজনের একটি এক ভোল মাছ।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে পাথরঘাটার আলম মিয়ার আড়তে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী হানিফ মিয়া সাড়ে তিন লাখ টাকায় মাছটি কিনে নেন।

এর আগে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবিরের মালিকানাধীন এফবি সাইফ-২ ট্রলারের জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

ট্রলারের মাঝি জামাল বলেন, বৃহস্পতিবার ট্রলারে বাজার-সদাই করে ১৫ জন স্টাফ নিয়ে মাছ শিকারের জন্য সাগরে যাই। কয়েকদিন ধরে সাগরে জাল ফেলছিলাম কিন্তু বড় মাছ পাচ্ছিলাম না। এরপর রোববার বঙ্গোপসাগরের প্রায় ১৮০ নটিক্যাল মাইল দূরে জাল ফেলি। জাল তুলে দেখি ৩৪ কেজি ওজনের বিশাল ভোল মাছটি আটকা পড়েছে। মাছটি পেয়ে আমিসহ আমার ট্রলারের স্টাফরা অনেক আনন্দিত।

মৎস্য পাইকার মো. হানিফ মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, তিন লাখ ৫০ টাকায় মাছটি কিনেছি। এটি চট্টগ্রাম চালান দিলে অনেক দাম পাওয়া যাবে।

এক ভোলের দাম সাড়ে ৩ লাখ টাকা

সাইফ কোম্পানির ব্যবস্থাপক মনিরুল হক মাসুম জাগো নিউজকে বলেন, মাছটির ওজন হয় ত্রিশ কেজি একশো গ্রাম। মাছটি ১২ লাখ টাকা মণ দরে দশ লাখ ছাপ্পান্ন হাজার টাকায় প্রথমে বিক্রি হয়। মাছটি কোরাল ভোল পুরুষ জাত ভেবে বেশি দরে বিক্রি হয়। পর মাছটির পেট থেকে বালিশ সংরক্ষণ করতে গিয়ে দেখা যায় মাছটি মা মাছ, পেটে ডিম। পরে মাছটির সাড়ে তিন লাখ টাকা দরে পুন-নির্ধারণ করে বিক্রি হয়।

জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, ভোল মাছ সচরাচর ধরা পড়ে না। বিশেষ করে এর বালিশ (এয়ার ব্লাডার) আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ মূল্যবান। ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় এ মাছের ব্যাপক চাহিদা । এ মাছের বালিশ দিয়ে সার্জিক্যাল অপারেশনের সুতা, প্রসাধনী ও ওষুধ তৈরি করা হয়।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ভোল মাছ বিদেশে ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। যদি জেলেরা সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে চলে এবং পোনা নিধন বন্ধ রাখে তাহলে সাগরে এমন বড় মাছের সংখ্যা আরও বাড়বে।

নুরুল আহাদ অনিক/আরএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।