মহিষ লুটের মামলায় বিএনপির ১১ নেতাকর্মী কারাগারে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ০২:৩৫ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কোটি টাকার ৪১টি মহিষ লুটের মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১১ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৩ এপ্রিল) কুষ্টিয়া আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদলত। জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তফা পারভেজ এ আদেশ দেন।

১১ নেতাকর্মী হলেন-কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, পলাশ, জাকির, বকুল, অভিক, বক্কর, মোজাফফর, হানা, তককুল, তুহিন ও শাহিনুর। তারা সবাই বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর এলাকার বাসিন্দা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে বৈরাগীরচর গ্রামের মণ্ডলপাড়া এলাকায় পদ্মার চরের সাইদ মণ্ডলের মহিষের বাথানে রাখালদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৪১টি মহিষ লুটে নেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে তার লোকজন মহিষগুলো লুট করে। এ সময় তারা মহিষের রাখাল মাজদার আলী (৫০), কামাল হোসেন (৩৫) ও সৈকতকে (৩৫) বেধড়ক মারপিট করেন ও অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী রহিমপুর মাঠে নিয়ে আটকে রাখে।

মহিষ লুটের মামলায় বিএনপির ১১ নেতাকর্মী কারাগারে

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাখালদের উদ্ধার করে। তবে লুট হওয়া মহিষ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। লুট হওয়া ৪১টি মহিষের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৯ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় মহিষের বাথান মালিক সাইদের স্ত্রী তমা খাতুন ১৪ ফেব্রুয়ারি দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সাইদুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৮-১০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।

আদালত পুলিশের কর্মকর্তা ও দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, ৪১টি মহিষ লুটের মামলায় ১২ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। জামিন চাইলে ১১ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। তবে এক আসামিকে জামিন দেন আদালত।

আল-মামুন সাগর/এমএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।