আদালতে স্বীকারোক্তি

পরিকল্পনা করে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বিএনপি কর্মীকে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফেনী
প্রকাশিত: ০৮:৩৫ এএম, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

বিএনপি কর্মী আবুল হাসেমকে (৫০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন চার আসামি। পূর্ব শত্রুতা ও প্রতিশোধ নিতে ১০ জন মিলে এ কিলিং মিশন পরিচালনা করেন বলে জবানবন্দি দেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহরা মুনা ও অপরাজিতা দাশের আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার প্রধান আসামি আক্তার হোসেন, ১১ নম্বর আসামি রাকিবুল ইসলাম, তদন্তে শনাক্ত আসামি বেলায়েত হোসেন মামুন ও সোলেমান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

জবানবন্দিতে তারা জানান, ২২ এপ্রিল রাত আড়াইটার দিকে তারা বোরকা ও মাস্ক পরে ওলামা বাজার সংলগ্ন সাজেদা ফাউন্ডেশনের পেছনে অবস্থান নেন। সেদিন ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে নিহত হাসেম ওই সড়ক অতিক্রম করার সময় তারা রশি দিয়ে তার পথরোধ করে। পরে রড, লাঠি ও ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানার উপপরিদর্শক হাসান বলেন, পূর্ব শত্রুতা, বেলাল হত্যা মামলায় হাসেমের সংশ্লিষ্টতা ও স্থানীয় সুফিয়ান মেম্বারকে পঙ্গু করার ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই তারা এ হত্যার পরিকল্পনা করেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজীদ আকন বলেন, এ মামলায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারসহ চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অন্য তিনজন এখনো জবানবন্দি দিতে রাজি হননি। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে ২২ এপ্রিল ভোরে সোনাগাজী উপজেলার ওলামা বাজার এলাকায় আবুল হাসেমকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুস শুক্কুর ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাঁচজনকে আসামি করে সোনাগাজী থানায় হত্যা মামলা করেন।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।