এইচএসসির ফরম পূরণের টাকায় দুই যুবদল নেতাকে অনুদান

সিরাজগঞ্জের চৌহালী সরকারি ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ১৯ হাজার টাকা যুবদলের দুই নেতা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্তরা হলেন উপজেলা যুবদলের সভাপতি আরমান হোসেন হাবীব ও সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাপলা।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে জাগো নিউজের হাতে আসা চৌহালী সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম ও প্রভাষক বেবী খাতুনের সই করা একটি পত্র থেকে আত্মসাতের বিষয়টি জানা যায়। পত্রে ১৭ তারিখের সই রয়েছে।
ওই পত্রে বলা হয়, ‘এইচএসসি ফরম ফিলাপ-২০২৫ হতে জাতীয়তাবাদী যুবদল নেতাদের অনুদান প্রদান। যুবদলের সভাপতি ১৪ হাজার ৬০০ টাকা ও সাংগঠনিক সম্পাদককে ৫ হাজার টাকা।’
একইপত্রে দরিদ্র ছাত্রদের দুই হাজার ৪০০ টাকা প্রদান করার কথা বলা হয়।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পূর্ব ঘোষিত এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫ ফরম পূরণের তারিখ শুরু হয় গত ২-১০ মার্চ। আর বিলম্ব ফি প্রদানের তারিখ নির্ধারিত ছিল ১২-১৭ মার্চ পর্যন্ত। এবার বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় সর্বমোট ৫০৩ জন শিক্ষার্থী আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছেন। এ সময়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগও তুলেছিলেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
তবে পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন উপজেলা যুবদলের সভাপতি আরমান হোসেন হাবীব।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত মাসে দুজন শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ করতে কলেজে গিয়েছিলাম। সেখানে অধ্যক্ষ কিছু টাকা কম নিয়েছেন। তাছাড়া তিনি কলেজের কোনো টাকা নেননি।’
সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাপলা অভিযোগ অস্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি তো ওই কলেজেই যাই না। তাছাড়া কলেজ শাখা ছাত্রদলের সংগঠন থাকতে আমরা কেন কলেজের টাকা আত্মসাৎ করবো।’
এ বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের গোপনীয় কিছু বিষয় থাকে। তবে আমার ও প্রভাষকের সই করা কোনো পত্র বাইরে যাওয়ার কথা নয়। আমি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছি বলে কলেজের অন্যরা যড়যন্ত্র করছেন। আমি নিজেও বিষয়টি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি।’
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, কলেজের বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেননি। তবে ঘটনা সত্যি হলে অবশ্যই জড়িতদের দায় নিতে হবে।
এম এ মালেক/এসআর/এএসএম