মহেশপুরে ভাই-ভাতিজা হত্যার জেরে যুবককে গুলি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ০৮:৫৭ এএম, ১২ মে ২০২৫

সীমান্ত চোরাচালানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জোড়া খুনের জেরে ঝিনাইদহের মহেশপুরে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইব্রাহিম (৩৫) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার (১১ মে) রাত ৯টার দিকে মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ ইব্রাহিম মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। আহত যুবককে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য ওবায়দুল ইসলাম ও আহত যুবকের স্বজনরা জানান, রাত ৯টার দিকে ইব্রাহিম বাড়ির পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় প্রতিপক্ষের রফিকুল ইসলাম রাফি ও চঞ্চল মিয়া ইব্রাহিমকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়েন। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে মহেশপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ইব্রাহিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

জানা গেছে, গত বছরের ২৪ জানুয়ারি সীমান্তে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে চোরাচালান সিন্ডিকেটের দুই সদস্য শামিম হোসেন ও তার ভাতিজা মন্টু মিয়াকে গুলি করে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। চাঞ্চল্যকর জোড়া হত্যাকাণ্ডে বাঘাডাঙ্গা কল্যাণপাড়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম আকালে ও ইব্রাহিমসহ কয়েকজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতদের পরিবার। মামলার পর থেকে তরিকুল ইসলাম আকালে পলাতক রয়েছেন। তবে হত্যা মামলার আসামি ইব্রাহিম দুই মাস আগে জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন। এরপর থেকে তিনি গ্রামেই বসবাস করছিলেন।

রোববার রাত ৯টার দিকে ইব্রাহিম বাড়ির পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় গুলি চালান রফিকুল ইসলাম রাফি ও চঞ্চল মিয়া। রফিকুল ইসলাম রাফি গত বছর নিহত শামিম হোসেনের ভাই ও মন্টু মিয়ার চাচা।

মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, গুলিবিদ্ধ ইব্রাহিমকে মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন চিকিৎসক। অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। তাদের আটক করতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

ওসি সাইফুল ইসলাম আরও জানান, পূর্ব বিরোধ ও জোড়া হত্যাকাণ্ডের জেরে গুলির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

শাহজাহান নবীন/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।