কক্সবাজার সৈকতে পর্যটক-দর্শনার্থীদের ভিড়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৮:৪৯ পিএম, ০৮ জুন ২০২৫

পর্যটক-দর্শনার্থীদের ভিড় জমেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। রোববার (৮ জুন) সকাল থেকে সৈকতে লোকজন আশা শুরু করে। নানা বয়সী নারী-পুরুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে গোটা শহর।

সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, মেরিনড্রাইভসহ আশপাশের পর্যটন স্পটগুলোতে ব্যাপক পর্যটকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

বিজ্ঞাপন

সি সেইফ লাইফগার্ড সিনিয়র কর্মী মো. ওসমান জানান, ঈদের দিনও সৈকতে পর্যাপ্ত মানুষ ছিলেন। আজ বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা বয়সী নারী-পুরুষ সাগরতীরে আসতে থাকে। কেউ সমুদ্র স্নান, কেউ বালিয়াড়িতে ছবি তোলা, কেউ বা আবার সওয়ারি হচ্ছেন ঘোড়া কিংবা বিচ-বাইকে। তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ উপভোগ করছে সূর্যাস্ত। ডুবন্ত সূর্যের সঙ্গে সাগরকে পেছনে রেখে ছবিও তুলেছেন অনেকে।

কক্সবাজার সৈকতে পর্যটক-দর্শনার্থীদের ভিড়

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে আসা সাইফুল ইসলাম, ‘টানা ছুটি কম পাওয়া যায়। এবারের ঈদুল আজহা চাকরিজীবীদের আনন্দ বাড়িয়েছে। সেই সুযোগ উদযাপনে পরিবার নিয়ে কক্সবাজার ছুটে এসেছি। সাগরের ঢেউ সবাইকে বিমোহিত করছে।’

আরেক পর্যটক রফিক উদ্দিনের মতে, ‘গরমে সৈকতে লোকসমাগম কম হবে মনে করেছিলাম। কিন্তু দুপুরের পর হতে পর্যটক-দর্শনার্থীর চাপ বেড়েছে। বেলাভূমিতে মানুষ বেশি থাকলে আনন্দও বেশি হয়।’

কক্সবাজার সৈকতে পর্যটক-দর্শনার্থীদের ভিড়

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

কাউছার খান নামে স্থানীয় এক যুবক বলেন, ‘পর্যটন শহরের বাসিন্দা হলেও কাজের চাপে পরিবার নিয়ে সাগরতীরে আসা যায় না। ঈদের ছুটিতে কাজের চাপ কম, এ সময়ে পরিবারকে সৈকত উপভোগ করতে নিয়ে এসেছি। বেলাভূমিতে এলে বাচ্চাগুলোর দৌড়ঝাঁপ দেখতে ভালোই লাগে।’

হোটেল সি নাইটের ব্যবস্থাপক শফিক ফরাজী বলেন, ‘ঈদের তৃতীয় দিন হতে ১৩ জুন পর্যন্ত কক্সবাজারে পর্যটক-দর্শনার্থীর ভিড় থাকবে আশা করা যায়। এ সময়টাতে হোটেল কক্ষ আগাম বুকিং আছে আশানুরূপ। এবার অন্তত ৫- ৬ লাখ পর্যটক ভ্রমণে আসবেন।’

কক্সবাজার সৈকতে পর্যটক-দর্শনার্থীদের ভিড়

বিজ্ঞাপন

ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাস বলেন, ‘ছুটিতে বিপুল পর্যটক ও দর্শনার্থীর আগমন ঘটবে। এমন আশায় অতীতের মতো নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ‘পর্যটকরা কক্সবাজারের প্রাণ। এখানে আসা সব শ্রেণির মানুষের ভ্রমণ আনন্দময় করতে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা থাকে। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দিয়ে একাধিক মোবাইল টিম পর্যটকদের সব ধরনের হয়রানি রোধে মাঠে কাজ করছে।’

সায়ীদ আলমগীর/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।