যমুনা সেতুর দুই প্রান্তে ২৫ কিলোমিটার অংশে গাড়ির ধীরগতি

যমুনা সেতুর ওপর সড়ক দুর্ঘটনা ও অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে প্রায় ১৭ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) ভোর থেকে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে যমুনা সেতু থেকে পুংলি পর্যন্ত এ ধীর গতির যানজট সৃষ্টি হয়। অপরদিকে সিরাজগঞ্জ অংশে ঝাউল ওভার ব্রিজ থেকে যমুনা সেতু পশ্চিম টোল প্লাজা পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার থেমে থেমে গণপরিবহন চলাচল করছে। এতে সেতুর দুই প্রান্তে ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন।
এদিকে যানজটের কবলে পড়ে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা৷ মহাসড়কে যানজট নিরসনে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল রাত থেকেই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। এছাড়া গভীর রাতে যমুনা সেতুর ওপর দুর্ঘটনা ঘটে৷ দুর্ঘটনা কবলতি গাড়ি রেকার দিয়ে সরাতে কিছুটা সময় লাগে। এতে টোল আদায়ে ধীর গতির কারণে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। আবার সিরাজগঞ্জের পশ্চিম প্রান্তে যানবাহন ঠিকমতো পাস না হওয়ার কারণে টাঙ্গাইলের অংশে ধীরগতির যানজটের তৈরি হয়েছে৷ ঢাকাগামী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন চলাচলে ধীর গতির যানজট সৃষ্টি হয়েছে৷
এ ব্যাপারে যমুনা সেতু পূর্ব থানার ওসি ফয়েজ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, সেতুর ওপর সড়ক দুর্ঘটনায় সারারাত সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলের ধীর গতির কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ জাগো নিউজকে বলেন, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও সিরাজগঞ্জ অংশে যানজট ছিল। যার কারণে টাঙ্গাইলের অংশেও যানবাহনের জটলা বাঁধে। তবে যানজট নিরসনে পুলিশ সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করছে।
যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের ছুটির শেষ দিনে গাড়ির চাপ বেশি থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে দুপুর নাগাদ এই চাপ কমে যাবে।
আব্দুল্লাহ আল নোমান/এফএ/এমএস