পিকআপ ভর্তি হাঁস ডাকাতি, দুদিন পর উদ্ধার

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০৬:১৪ পিএম, ০২ জুলাই ২০২৫

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাঁস ভর্তি পিকআপ ডাকাতির ঘটনার দুদিন পর এক হাজার ৪২০টি হাঁস উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে তাদের কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন বাজিতপুর উপজেলার রুবেল মিয়া, আপন মিয়া ও বাপ্পী মিয়া।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীর রায়পুরার বাসিন্দা আব্দুল হান্নান মিয়া বিভিন্ন এলাকা থেকে হাঁস কিনে পিকআপে করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করেন। ২৮ জুন রাতে চালক ও হেলপার নেত্রকোনার কেন্দুয়া নরখানার শিবপুর এলাকার রোকন মিয়ার এক হাজার ৪৩৫টি পাতি হাঁস পিকআপ ভর্তি করে ফেনীর পরশুরামের উদ্দেশ্যে রওনা করেন।

পথিমধ্যে ২৯ জুন রাত ৩টার দিকে লক্ষ্মীপুর কাশবন রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন রাস্তায় একটি প্রাইভেটকার আড়াআড়ি করে রেখে পিকআপের গতিরোধ করা হয়। এরপর ৫-৬ জন চাপাতি, রামদা ও ছুরি নিয়ে পিকআপে ভাঙচুর চালায়। এসময় ডাকাতরা পিকআপ চালক ও হেলপারকে মারধর করে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান মিয়া বলেন, ডাকাতির ঘটনায় থানায় মামলা করার দুদিন পর লুট হওয়া এক হাজার ৪৩৫টি হাঁসের মধ্য এক হাজার ৪২০টি হাঁস উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পিকআপ ও স্মার্টফোন, নগদ টাকা এখনো উদ্ধার করা হয়নি।

এ বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি জানান, ভৈরব শহরের রাস্তায় পিকআপ ভর্তি হাঁস ডাকাতির ঘটনার পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। একই সঙ্গে ১৪২০টি হাঁস উদ্ধার করা হয়।

রাজীবুল হাসান/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।