শহীদ জিয়াউর রহমানের ভাতিজি মাহেরীন চৌধুরী এখন সাহসিকতার আরেক নাম

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নীলফামারী
প্রকাশিত: ০২:৪২ পিএম, ২২ জুলাই ২০২৫

আত্মত্যাগ ও সাহসিকতার আলোকবর্তিকা শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরী। তিনি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ি এলাকার মেয়ে। তিনি স্থানীয় বগুলাগাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্বাহী কমিটির সভাপতি ছিলেন।

পাশাপাশি মাহেরীন চৌধুরীর পারিবারিক পরিচয়ও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাতিজি। মাহেরীন চৌধুরীর বাবার নাম মহিতুর রহমান চৌধুরী ও মা সাবেরা চৌধুরী। মাহেরীনের দাদি রওশানারা চৌধুরী ছিলেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খালা।

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রায় ২০ শিক্ষার্থীকে রক্ষা করেন সাহসী শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরী (৪৬)। তবে তিনি হার মানেন মৃত্যুর কাছে। রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

দুর্ঘটনার সময় শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান এই শিক্ষক। কিন্তু তিনি নিজে তখন আগুনে আটকা পড়েন। শরীরের অনেকাংশ দগ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে নেওয়া হয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।

মাহেরীন চৌধুরীর মরদেহ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় তার বাবার বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকার বগুলাগাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজে মাছে জানাজা শেষে পারিবারিব কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে সমাহিত করা হবে। এখন তার মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনরা।

আমিরুল হক/এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।