ইতালি যেতে ৩৮ লাখ টাকা দিয়েও নিখোঁজ মাদারীপুরের যুবক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ১১:৫১ এএম, ২৬ জুলাই ২০২৫

অবৈধভাবে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে দেড় বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন মাদারীপুরের শাজাহান হাওলাদার (৩০)। পরিবারের লোকজন দফায় দফায় ৩৮ লাখ টাকা দিলেও ইতালি যাওয়া হয়নি তার। বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন সেটাও জানে না তার পরিবার।

শাজাহান হাওলাদার সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের ত্রিভাগদী গ্রামের রহিম হাওলাদারের ছেলে।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাজাহান হাওলাদারকে ইতালি যাওয়ার প্রলোভন দেখান প্রতিবেশী মৃত বারেক বেপারীর ছেলে দালাল আমির বেপারী। আমির বেপারী সরাসরি ইতালি নেওয়ার কথা বলে শাজাহানের পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে ১০ লাখ টাকা নেন। এরপর ২০২২ সালের ২ জুলাই শাজাহানের পাসপোর্ট নিয়ে তাকে প্রথমে পাঠানো হয় দুবাই। পরে মিশর ও সবশেষ শাজাহানকে নিয়ে যাওয়া হয় লিবিয়ায়। সেখানে তাকে জিম্মি করে লিবিয়ার মাফিয়ারা। শাজাহানের ওপর চলে অমানবিক নির্যাতন। এরপর পরিবারের কাছ থেকে দালাল চক্র দফায় দফায় ৩৮ লাখ টাকা নেয়।

২০২৪ সালের ২১ মার্চের পর থেকে আর কোনো সন্ধান মেলেনি শাজাহানের। তিনি বেঁচে আছেন কি না তাও জানে না তার পরিবার। পরে বাধ্য হয়ে মাদারীপুরের আদালতে ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর একটি মানবপাচার আইনে মামলা করে শাজাহানের পরিবার।

ইতালি যেতে ৩৮ লাখ টাকা দিয়েও নিখোঁজ মাদারীপুরের যুবক

নিখোঁজের বাবা রহিম হাওলাদার বলেন, আমার ছেলেকে ইতালি নেওয়ার কথার বলে লিবিয়ায় বন্দি করে রাখে দালাল আমির ও তার লোকজন। পরে তাকে নির্যাতন করা হয়। এরপর আমাদের ভয় দেখিয়ে কয়েক দফায় মোট ৩৮ লাখ টাকা নেয়। এতগুলো টাকা দেওয়ার পর আজ দেড়বছর ধরে ছেলের কোনো খোঁজ নেই। আমার ছেলেকে ফেরত চাই আর দালাল আমির বেপারীর শাস্তি চাই।

অভিযুক্ত আমির বেপারী বলেন, আমি শাজাহান নামে কাউকে চিনি না। তাকে কে বা কারা কোথায় নিয়ে গেছে আমি তা জানিও না। আমার নামে তিনি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিখোঁজ শাজাহানের পরিবার আদালতে মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।