পল্লিচিকিৎসকের ‘জ্বরের ওষুধ’ খেয়ে উঠে যাচ্ছে শিশুর চামড়া

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: ০৭:১৩ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০২৫
ফাইল ছবি

পল্লিচিকিৎসকের দেওয়া ‘ওষুধ সেবন করে’ হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে ৯ বছরের শিশু নুরজাহান। বর্তমানে শিশুটি ক্ষত শরীর নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে অভিযুক্ত পল্লিচিকিৎসক এ দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের টেপারকুটি গ্রামে।

শিশুটির পরিবার জানায়, ২৯ জুলাই নুরজাহানের শরীরে জ্বর এলে তাকে নিয়ে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের পল্লী চিকিৎসক আলমগীর হোসেনের দোকানে যান বাবা ইউনুছ আলী। পরে ওই পল্লী চিকিৎসক নুরজাহানকে দেখে তিন ধরনের ওষুধ দেন। এসব ওষুধ সেবন করার পর থেকে শিশুটির শীরের ছোট ছোট ফোসকা পড়তে থাকে। এরপর সারা শরীর কালো এবং পুড়ে যাওয়ার মতো হয়ে যায়। পরে ওই পল্লী চিকিৎসক শিশুটিকে চিকিৎসা দিতে টালবাহান করেন। দুদিনের মাথায় নুরজাহানের শরীরের চামড়া ওঠে যেতে থাকে এবং ক্ষতের সৃষ্টি হয়। পরে ১ আগস্ট তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নুরজাহানের বাবা ইউনুছ আলী বলেন, মেয়ের জ্বর নিয়ে আলমগীর ডাক্তারের কাছে যাই। তিনি দেখে তার ফার্মেসি থেকে তিন-চারটি ওষুধ দেন। সেগুলো খাওয়ানোর পর মেয়ের শরীরের এমন অবস্থা। পরে আলমগীরের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলে তিনি টালবাহানা করে এড়িয়ে যান। পরে মেয়েকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করি। মেয়ে এখন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।

এদিকে পল্লী চিকিৎসক আলমগীর হোসেন নিজেকে সরকারি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক বলে দাবি করেন।

তিনি জানান, ভুল চিকিৎসা দেননি। জ্বরের কয়েকটি ওষুধ দিয়েছেন মাত্র। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এমন হয়েছে কি না জানা নেই তার।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ নূরুন্নবী জানান, শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে নুরজাহান। তার শারীরিক অবস্থা দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এমনটা হয়েছে।

কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার রায় বলেন, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নির্ণয়ের জন্য প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে টিম রয়েছে। তারা প্রতিবেদন দিলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোকনুজ্জামান মানু/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।