রংপুরে বেড়েছে ডিমের দাম, ঊর্ধ্বমুখী সবজির বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ০৪:২৩ পিএম, ০৫ আগস্ট ২০২৫

রংপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে অধিকাংশ সবজির। এছাড়া ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পোলট্রি মুরগির দাম। তবে চাল, ডাল, তেল, মাছ ও মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৮ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪২-৪৪ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৩৮-৪০ টাকা।

এদিকে সবজির বাজারে দেখা যায়, প্রতিকেজি টমেটো গত সপ্তাহের মতো ১৫০-১৬০ টাকা, গাজর ১৫০-১৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৫০-১৬০ টাকা, কাঁকরোল ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা, ঝিংগা ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫-৬০ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) ৩০-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, দুদকুষি ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০-৫০ টাকা হয়েছে।

এছাড়া সজনে আগের মতোই ১৫০-১৬০ টাকা, চিকন বেগুন ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, গোল বেগুন আগের মতোই ৭০-৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৩০-৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, পটল ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, বরবটি ৪০-৫০ টাকা থেকে লাফিয়ে ৭০-৮০ টাকা, পেঁপে আগের মতোই ২৫-৩০ টাকা, শসা ৪৫-৫০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ৫০-৬০ টাকা, কচুরলতি ৪০-৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫-৬০ টাকা, কচুর বই ৩০-৩৫ টাকা, লেবুর হালি ১০ টাকা, ধনেপাতা ২০০-২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০০-৩৫০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৫-৭০ টাকা, দেশি আদা ১২০-১৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৬০-২৮০ টাকা, আমদানি করা আদা ২২০-২৪০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ১২০-১৪০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২২০ টাকা, শুকনো মরিচ ৩৫০-৪০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৮-২০ টাকা, শিল আলু ৪৫-৫০ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা হেলাল মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে সবজি বাজারে প্রভাব পড়েছে। এছাড়া বাজারে সবজির সরবরাহ আগের তুলনায় কমে গেছে। এসব কারণে দাম বেড়েছে।

অপরদিকে খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতো ১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) আগের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনির দাম কমে ১১০-১১৫ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০-৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্বর্ণা (মোটা) গত সপ্তাহের মতো ৫২-৫৪ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৭০-৭৫ টাকা, বিআর২৯- ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫-৯০ এবং নাজিরশাইল ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের তুলনায় সামান্য বেড়ে ১৬০-১৭০ টাকা থেকে ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩১০-৩২০ টাকা, পাকিস্তানি হাইব্রিড ২৯০-৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুলাটোল আমতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আমির হোসেন বলেন, মাসের প্রথম সপ্তাহে মুরগির দাম বাড়ে। এটা সিন্ডিকেটের একটা কৌশল। এসময় চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা ছাড়া হয়। এতে বিক্রি বাড়ে। মাসের শেষ দিকে দাম কমিয়ে দেয় সিন্ডিকেট।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুই মাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জিতু কবীর/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।