তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তেও হত্যার কারণ নেই


প্রকাশিত: ০৭:২৭ এএম, ১২ জুন ২০১৬

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে সেই রহস্যের সুরাহা দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও নেই। তবে হত্যার আগে ধর্ষণের কোনো আলামত প্রথম ময়নাতদন্তে না পাওয়া গেলেও দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে পাওয়া গেছে; যা ডিএনএ পরীক্ষায় আগেই পাওয়া গিয়েছিল।   

রোববার তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তনুর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের ৭৪ দিন পর এবং হত্যাকাণ্ডের ৮৪তম দিনে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হলো।

দুপুর পৌনে ১টার দিকে ফরেনসিক বিভাগ ও তনু হত্যার দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত বোর্ডের প্রধান ডা. কেপি সাহা সাংবাদিকদের ধর্ষণের আলামত পাওয়ার কথা জানান।

কে পি সাহা বলেন, দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের সময় হত্যার ১০ দিন পার হয়ে যাওয়ায় মরদেহ পচে-গলে যাওয়ায় তার মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ডিএনএ রিপোর্টের মাধ্যমে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসের একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধারের পরদিন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে তার প্রথম ময়নাতদন্ত করেন ডা. শারমিন সুলতানা। ৪ এপ্রিল দেয়া হয় প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনে তনুকে হত্যা ও ধর্ষণের আলামত না থাকায় দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ফরেনসিক বিভাগ।

এরপর ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ডিএনএ প্রতিবেদনে তনুকে ধর্ষণের আলামত মেলে। তিনজন পুরুষের শুক্রাণু পাওয়ার কথা বলা হয় ওই প্রতিবেদনে।

কামাল উদ্দিন/এফএ/এনএফ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।