তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান পরিবারের
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে তার পরিবার। প্রতিবেদনে তনুর মৃত্যুর কারণ চিহিৃত না করে তার `সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স` হয়েছে বলে প্রতিবেদন দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তনুর মা আনোয়ারা বেগম।
প্রতিবেদনকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করে তনুর মা বিকেলে কুমিল্লা সেনানিবাসের অদূরে আলেখারচর এলাকায় সাংবাদিকদের জানান, তনু সব সময় বোরকা পরে চলতো, এখন ডাক্তাররা আমার মরা মেয়ের চরিত্র হনন করছেন।
তিনি বলেন, সেনানিবাসের ভেতর একটি বাসায় তনুকে হত্যা করে মরদেহ জঙলে ফেলে দেয়া হয়। আমরা মরদেহ উদ্ধার না করলে হয়তো শিয়াল-কুকুরে তার মরদেহ খেতো, তখন হয়তো বলা হতো শিয়াল কুকুরই তনুকে মেরেছে। ঘাতকরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণেই ডাক্তাররা মৃত্যুর কারণ গোপন রেখেছেন। মেয়ে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে এখন আমাদের সেনানিবাস থেকেই বের করে দেয়ার চেষ্টা চলছে।
তিনি ক্ষোভের সঙ্গে আরো বলেন, আমার মেয়েটা সেনানিবাসের ভেতরই মারা গেছে, তার শরীরে এতো জখম থাকার পরও এখন ডাক্তাররা তার মৃত্যুর কারণ খুঁজে পায় না, আমার তনুকে ফেরৎ দেয়া হোক, আমরা সেনানিবাস ছেড়ে চলে যাব।
রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ফরেনসিক বিভাগ থেকে কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়। পরে দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কেপি সাহা তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, তনুর পচা-গলা মরদেহ থেকে মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করা যায়নি। এছাড়া মৃত্যুর আগে তনু ‘সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স` করেছে।
কামাল উদ্দিন/এআরএ/এমএস