খুলনায় চড়া মাছ-মাংসের বাজার
খুলনায় বাজারে সবজির দামে স্বস্তি ফিরলেও মাছ-মাংসের বাজারে দাম এখনো চড়া। বিশেষ করে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। এদিকে বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম বেড়েছে বলে দাবি ক্রেতাদের।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) খুলনার নতুন বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, নিউ মার্কেট বাজার ও জোড়াকল বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগির বাজারে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহেও ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে। ২৬০ টাকার সোনালী মুরগী ১৫-২০ টাকা কেজিতে বেড়েছে। গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এবং খাসির মাংস ১১৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজারে, লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা প্রতি পিচ, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে, কাঁচা কলা ২৫-৩০ টাকা হালি, প্রতি কেজি ঝিঙে ৬০-৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বরবটি ৯০ টাকা ও পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম ফের বেড়ে ২০০-২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে, রুই মাছ আকারভেদে ৩০০-৩৫০ টাকা, ভেটকি মাছ আকারভেদে ৬০০-৮০০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০-২ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে, ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশের দাম ১ হাজার ৭০০-১ হাজার ৮০০ টাকা কেজি, ৪ থেকে ৫টি মিলিয়ে এক কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকা কেজি দরে।
সবজি ব্যবসায়ী হামিদ শেখ বলেন, বাজারে অনেক সবজি ভরপুর রয়েছে এবং কিছু কিছু শীতের সবজি আগাম আসতে শুরু করায় সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। কাঁচা মরিচের দামও কমে যাবে। বৃষ্টি না হলে সবজির দাম এ সপ্তাহে ফের কমতে পারে বলে তিনি আশা করেন।

মাছ ব্যবসায়ী সুমন মোল্লা বলেন, ঘেরের মাছ প্রায় বছর ধরেই বাড়তি রয়েছে। মূলত ফিডের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সব মাছের দাম ১০০-১৫০ টাকা বেড়েছে কেজিতে। সেই সঙ্গে সামুদ্রিক মাছের দামও বাড়তি। এমন বাড়তি দাম শুনলে ক্রেতারাও মাছ কিনতে চান না। আমাদের ব্যবসা ঘুরে ফিরে মন্দা যায়।
মুরগি ব্যবসায়ী কাওসার শেখ বলেন, গত সপ্তাহ থেকে মুরগির দাম পাইকার ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছেন। কেজিতে আমাদের ৫-১০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এজন্য ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে আমাদেরও বিক্রি করতে হচ্ছে।
নতুন বাজারে আসা হুমায়ুন কবির বলেন, সবজির দাম কমলেও ৪০-৫০ টাকার নিচে সবজি পাওয়া দুষ্কর। বাড়তি দাম মানে বাড়তি চাপ। অনেকের হিসেব করা টাকায় সংসার চলে। এখন পুরাতন হিসাবে চড়া দামে মাছ ও সবজি ক্রয় করতে কষ্ট হচ্ছে অনেক। মাছ ও সবজির দাম আরও নাগালে আসা প্রয়োজন।
অন্য একজন ক্রেতা শাফিন ইসলাম জানান, মুরগির দাম দুই সপ্তাহে দুইবার বেড়েছে।
এ সপ্তাহ ঘুরতে দাম বৃদ্ধির শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, মাছ-মুরগির দামের একটা নির্দিষ্ট দাম নির্ধারণ করা দরকার। তা না হলে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি করে। বাজারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ খুব জরুরি।
আরিফুর রহমান/এনএইচআর/এমএস