রংপুরে কমেছে মুরগি-কাঁচামরিচের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ০৩:২৬ পিএম, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

রংপুরের বাজারে কমেছে মুরগির দাম। সেইসঙ্গে দাম কমেছে কাঁচামরিচের। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, পেঁয়াজ, চাল-ডাল, মাছ-মাংসসহ অধিকাংশ সবজি।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের তুলনায় সামান্য কমে ১৫০-১৬০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালী মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা থেকে কমে ২৫০-২৭০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫০০-৫২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

স্টেশন বাজারের মুরগি বিক্রেতা আরফান হোসেন বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত ব্রয়লার ও পাকিস্তানি সোনালী মুরগির দাম কমেছে। বাজারে এখন মুরগির সরবরাহ পর্যাপ্ত।

এদিকে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ গত সপ্তাহের তুলনায় অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে। আজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা। এছাড়া পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের মতোই ৯০ থেকে ১০০ টাকা। আর পাতা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের মতোই ৫০-৬০ টাকা।

সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি টমেটো ১০০-১২০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৮০-৯০ টাকা, গাজর ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে ৫৫-৬০ টাকা, ঝিংগা গত সপ্তাহের মতো ৫০-৬০, মুলা ৩০-৩৫ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা থেকে কমে ৩৫-৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৩৫ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) আগের মতোই ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলার হালি ২০-২৫ টাকা, দুদকুষি ৪০-৫০ টাকা, চিকন বেগুন ৫০-৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-১০০ থেকে কমে ৫৫-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০-৮০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বরবটি গত সপ্তাহের মতোই ৭০-৮০ টাকা, শিম ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে ৫৫-৬০ টাকা, পেঁপে আগের মতো ২০-২৫ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, করলা গত সপ্তাহের মতোই ৭০-৮০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ৩০-৫০ টাকা, কচুরলতি ৫০-৬০ টাকা, লেবুর হালি ১৫-২০ টাকা, প্রতিকেজি ধনেপাতা ৮০-১০০ টাকা থেকে কমে ৩০-৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে, দেশি আদা গত সপ্তাহের মতোই ১২০-১৪০ টাকা, আমদানি করা আদা ১৪০ টাকা, দেশি রসুন ৮০-১০০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৮০-২০০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতো ৩৫০-৪০০ টাকা এবং প্রকারভেদে শাকের আঁটি ১৫ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রংপুরে কমেছে মুরগি-কাঁচামরিচের দাম

স্টেশন বাজারের সবজি বিক্রেতা আজিজুল ইসলাম বলেন, কিছু সবজির দাম কমলেও দুই-একটা সবজির দাম বেড়েছে। মূলত যে সব সবজির মৌসুম শেষ দিকে তার সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে দাম বেড়েছে। তবে অধিকাংশ সবজি গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে।

এদিকে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি গত সপ্তাহের মতোই দোকান ভেদে ৩৮-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ২২-২৫ টাকা, শিল আলু ৪০-৪৫ টাকা, ঝাউ আলু ৩৫-৪০ টাকা, দেশি সাদা আলু ২৫-৩০ টাকা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতো ১৮৫-১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) ১৫০-১৬০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনি ১০০-১১০ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪৫-৫০ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৭০-৭৫ টাকা, বিআর২৯- ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮২-৮৫ এবং নাজিরশাইল ৮৫-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জিতু কবীর/এমএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।