রংপুরে কমেছে পেঁয়াজ-কাঁচামরিচ-ডিমের দাম
রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে পেঁয়াজের। কাঁচামরিচ-ডিমের দামও কমেছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে বেশিরভাগ সবজিসহ চাল, ডাল, আটা ময়দা, মাছ, মাংসের দাম।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পুরাতন পেঁয়াজ ১৩০-১৪০ টাকা থেকে কমে ১২০-১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন মুড়ি কাঁটা পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা থেকে কমে ৯০-১০০ টাকা এবং পাতা পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়।
কেরানিপাড়া চৌরাস্তার মোড বাজারের সবজি বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাজারে এখন নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।’
খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ গত সপ্তাহের তুলনায় ৬০-৭০ টাকা থেকে কমে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৫০-১৬০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৪০-২৬০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫০-২৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫০০-৫২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
টার্মিনাল বাজারের মুরগি বিক্রেতা হোসেন আলী বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় পাকিস্তানি সোনালী মুরগির দাম বেড়েছে। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি টমেটো গত সপ্তাহের মতোই ৭০-৮০ টাকা, গাজর ৫৫-৬০ টাকা, মুলা ২৫-৩০ টাকা থেকে কমে ২০-২৫ টাকা, ফুলকপি গত সপ্তাহের মতোই ২৫-৩০ টাকা, বাঁধাকপি ২৫-৩০ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) আগের মতোই ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলার হালি ২০-২৫ টাকা, চিকন বেগুনের দাম কমে ৪০-৫০ টাকা থেকে হয়েছে ৩০-৪০ টাকা, গোল বেগুন আগের মতোই ৫০-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০-৬০ টাকা, পটোল ৫০-৬০ থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা থেকে কমে ৫০-৬০ টাকা, রকমভেদে শিম ৪০-৬০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, শসা আগের মতোই ৪০-৫০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ৪০-৫০ টাকা, লেবুর হালি ১৫-২০ টাকা, প্রতিকেজি ধনেপাতা ৩০-৪০ টাকা থেকে কমে ২৫-৩০ টাকা, সব ধরনের শাকের আঁটি ১০-২০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
দেশি আদা গত সপ্তাহের মতোই ১২০-১৪০ টাকা, দেশি রসুন ১০০-১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২০০-২২০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতো ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ধাপ লালকুঠি বাজারের সবজি বিক্রেতা কবীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।’
পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি গত সপ্তাহের তুলনায় সামান্য কমে ৩৬-৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দোকানভেদে পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে ৪০ টাকা পর্যন্ত হালি বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কমে ১৮-২০, টাকা টাকা, নতুন আলু ৩০-৪০ টাকা, শিল আলু ৩৫-৪০ টাকা, ঝাউ আলু গত সপ্তাহের মতোই ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে ১৯৫-২০০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল আগের মতোই (চিকন) ১৫০-১৬০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনি ১০০-১১০ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪৫-৫০ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৫-৬০ টাকা, বিআর২৮ ৬৫-৭০ টাকা, বিআর২৯ ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭০-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫ এবং নাজিরশাইল ৮৫-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, ট্যাংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপিও ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতলা ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জিতু কবীর/এসআর/এএসএম