পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশায় বেড়েছে শীতের দাপট

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পঞ্চগড়
প্রকাশিত: ০৯:৫৪ এএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও ঘনকুয়াশায় বাতাসে বেড়েছে শীতের দাপট। তীব্র শীতে বেড়েছে জনদুর্ভোগ।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোর থেকে ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে গোটা এলাকা। সকাল ১০টার পরও কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ ছিল চারদিক।

ঘনকুয়াশার কারণে চারদিন ধরে ঠিকঠাক সূর্যের দেখা নেই। বৃহস্পতিবার দুপুরে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও তাপ ছড়ানোর আগে আবারও ঢেকে যায় ঘনকুয়াশায়। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে বেড়ে যায় কুয়াশার দাপট। রাতভর টিপটিপ করে শিশিরের মতো কুয়াশা ঝড়ে। সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন এলাকার হাট বাজারে মানুষের চলাচল কমে গেছে।

সকাল ৯টায় রাতের (সর্বনিম্ন) তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের (সর্বোচ্চ) তাপমাত্রাও ১৬ দশমিক ৬ থেকে বেড়ে রেকর্ড করা হয় ২২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশায় বেড়েছে শীতের দাপট

কদিন ধরে দিনে ঘনকুয়াশা কারণে ঠিকঠাক সূর্যের মুখ দেখা যায় না। দিনের আলোয় সড়ক মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। বেশি প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন বাইরে বের হচ্ছেন না। হাড় কাঁপানো শীতে দৈনন্দিন আয় কমে গেছে দিনমজুর মানুষের। রিকশা-ভ্যান চালক ও ইজিবাইক চালকদের আয় কমেছে অর্ধেকে। বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

শহরের রামের ডাংগা মহল্লার ইজিবাইক চালক জরিফুল ইসলাম বলেন, পেটের দায়ে প্রতিদিন সকাল সকাল বের হতে হয়। কয়েকদিন ধরে ইনকাম অর্ধেক কমে গেছে। আগে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭০০ টাকায় ইনকাম হতো। এখন সারাদিন ৩০০/৪০০ টাকা ইনকাম করতে দিন শেষ হয়ে যায়।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আগামী সপ্তাহে শুরু থেকে অথবা মাঝামাঝি সময়ে দ্বিতীয় দফায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।।

সফিকুল আলম/আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।