মানবসেতুতে সমালোচিত এবার ইউএনও
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা চেয়ারম্যান শিক্ষার্থীদের মানবসেতু বানিয়ে তাদের পিঠের উপর দিয়ে হেঁটে দেশজুড়ে যখন তুমুল সমালোচনার পাত্র হয়েছেন। ঠিক তখনি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদ উল্লাহর এমনি একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। যা বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মনোহরদী ডিগ্রি কলেজ মাঠে তিনদিন ব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় পাশ্ববর্তী কাপাসিয়ার একটি লাঠি খেলার দল তাদের নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। খেলার এক পর্যায়ে খেলোয়াররা একটি মানবসেতু তৈরি করে। মানবসেতুর ওপর দাঁড়িয়ে সালাম গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদ উল্লাহ। পরে তিনি মানবসেতু দিয়ে হেঁটে নিচে নামেন। মানবসেতু দিয়ে ইউএনও শহিদ উল্লাহর হেঁটে যাওয়ার ছবি গত বুধবার রাতে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, লাঠি খেলার দলের খেলোয়াররা একে অপরের উপর চিৎ হয়ে শুয়ে মানবসেতু নির্মাণ করে। দুই হাতে খেলার উপকরণ লাঠি ধরে রাখে। ইউএনও শহিদ উল্লাহ খেলোয়ারদের বুকে পাড়া দিয়ে ওই মানবসেতুর উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। দুইজন খেলোয়ারের পাশাপাশি একজন ব্যক্তি ওনাকে মানবসেতু পার হতে সহায়তা করছে। এর চারদিক থেকে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী দৃশ্যটি দেখছেন।
ফেসবুক ব্যবহারকারী মাহফুজুল সোহাগ হক মানবসেতু দিয়ে ইউএনওর হেঁটে যাওয়া ছবি ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে লিখেছেন, সম্মানিত ইউএনও, মানবসেতু বলে কি কিছু আছে ? আপনি বললেই কি আমি মানবসেতুতে উঠবো নাকি ? মানুষের বুকের উপর পা রেখে ক্ষমতার অপব্যবহার করা কি ঠিক ? আপনাকে সরকার অনেক ক্ষমতা দিয়েছে তা সঠিক স্থানে প্রয়োগ করুন।
তবে ঘটনা স্বীকার করে মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদ উল্লাহ বলেন, মানবসেতু খেলার একটি অংশ। খেলোয়ারদের অনুরোধে আমি মানবসেতুতে উঠে তাদের সালাম গ্রহণ করি। এবং তাদেরকে আড়াই হাজার টাকা সেলামি প্রদান করি। তবে বিষয়টি অমানবিক কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা শিক্ষার্থী নয়, সবাই বড়। তাদের আবদার রক্ষায় আমি উঠেছি। তবে যেহেতু বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ভবিষ্যতে আমি সর্তক থাকবো।
সঞ্জিত সাহা/এমএএস/এমএস