‘শেরপুর কলঙ্কমুক্ত দিবস’ পালনের ঘোষণা শহীদ স্বজনদের
যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় দিনটিকে ‘শেরপুর কলঙ্কমুক্ত দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে শহীদ পরিবারের সদ্যস্যরা। ‘শহীদ স্বজন-৭১` সভাপতি ও শহীদ গোলাম মোস্তফার ভাই মোশাররফ হোসেন তালুকদার এমন কথা জানিয়েছেন।
কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় ট্রাইব্যুনালের অন্যতম সাক্ষী মোশাররফ হোসেন তালুকদার বলেন, আমি আমার ভাই হত্যার বিচার পেলাম, রক্তের বদলা পেলাম। শেরপুর কলঙ্কমুক্ত হলো। আমরা শহীদ পরিবার স্বজনরা প্রতিবছর এই দিনটিকে ‘শেরপুর কলঙ্কমুক্ত দিবস’ হিসেবে পালন করবো।
কামারুজ্জামানের মামলার আরেক সাক্ষী আত্মস্বীকৃত আলবদর মনোয়ার হোসেন ওরফে মোহন মুন্সী বলেন, এতদিন আমি এই দিনটার অপেক্ষায় ছিলাম। আল্লার কাছে সবসময় দোয়া করছি কামরুজ্জামানের ফাঁসি না দেহাইয়া যেন আমার মওত না হয়। ওর জন্যই আমারে আইজ মাইনসে আলবদর কইয়া গাইল দেয়। আমি মুক্তিযুদ্ধে যাবার চাইছিলাম, ওই আমারে বদর বাহিনীর টর্চার ক্যাম্পের পাহারাদার বানাইছে। যেদিন ওর ফাঁসির সাজা ঘোষণা অইছিল, ওইদিন খুশি অইছিলাম। অহন ফাঁসি কার্যকরি হওনে নফল নমাজ পইড়া আল্লার কাছে শোকরিয়া আদায় করেছি। আইজকা নিজেরে ইকটু ইকটু হালকা মুনে অইতাছে।
জেলা জাসদ সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন বলেন, কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে আমাদের শেরপুর যেমন কলঙ্কমুক্ত হয়েছে, তেমনিভাবে জাতিও কলঙ্কমুক্ত হলো। আমরা আশাকরি প্রত্যেকটি যুদ্ধাপরাধীর এভাবে সাজা কার্যকরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাজাকারমুক্ত হবে, যুদ্ধাপরাধীমুক্ত হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকেও তিনি অভিনন্দন জানান।
এসএস/এমএএস/আরআই