বৈশাখী মেলা ঘিরে ব্যস্ত ঠাকুরগাঁওয়ের মৃৎ শিল্পীরা


প্রকাশিত: ০৭:০২ এএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৫

বাংলা বছরের প্রথম মাস বৈশাখ। নববর্ষকে ঘিরে মাস জুড়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলা। এসব মেলার একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে মাটির তৈরি নানা সামগ্রী। আর এ সকল সামগ্রী তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ঠাকুরগাঁওয়ের মৃৎ শিল্পীরা।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আকচা পালপাড়ার মৃৎ শিল্পীরাও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বৈশাখী মেলাকে সামনে রেখে।

চাকা ঘুরিয়ে মাটি প্রক্রিয়াকরণ করে নিপুণ হাতে তৈরি হচ্ছে ফুলদানি, ব্যাংক, পুতুল, গরু, ঘোড়া, হাতি, পাখিসহ নানা বাহারি দ্রব্য সামগ্রী। বৈশাখী মেলাগুলোতে বিশেষ এলাকাজুড়ে সাঁজানো এ সকল মাটির তৈরি দৃষ্টিনন্দন পসরা ছোট-বড় সকল বয়সের মানুষকেই সমানভাবে আকৃষ্ট করে। বৈশাখের এ সময়টাতে মাটির তৈরি এসব জিনিসপত্র বিক্রিও হয় ভালো।

তাই বৈশাখকে সামনে রেখে পাল পাড়াগুলোতে এখন দিন রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎ শিল্পীরা। পুরুষের পাশাপাশি বাড়ির নারী সদস্যরাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এসব দ্রব্যসামগ্রী তৈরিতে। বৈশাখ মাস জুড়েই তৈরি করা হবে এ সকল পণ্য। এখন চলছে শেষ রং তুলির আচঁড়ের কাজ।

পালপাড়ার মৃৎ শিল্পী নারায়ণ চন্দ্র পাল জানান, বছরের অন্য সময়ে মাটির সামগ্রীর চাহিদা বেশি না থাকলেও বৈশাখ মাসে চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যায়। যার কারণে আমাদের ব্যস্ততাও বেশি থাকে।

অভিযোগের সুরে নারায়ণ চন্দ্র আরও জানালেন, সিলভার ও প্লাস্টিকের আগ্রাসনে মুখ থুবড়ে পড়েছে এই শিল্প। এখন এ শিল্পের চাহিদা অনেকটা মেলাকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে।

কাজের অতিরিক্ত চাহিদার কারণে বাড়ির পুরুষ সদস্যদের সাহায্যের জন্য কাজ করছেন বলে জানালেন আরেক শিল্পী রীতা রানী পাল।

সংশ্লিষ্টরা জানালেন, মৃৎশিল্পের কাজে লাগানো এটেল মাটি পাওয়া অনেকটা দুষ্কর। অতিরিক্ত মূল্যে মাটি কিনে মাটির দ্রব্য তৈরি করা হলেও সে অনুযায়ী মূল্য পাওয়া যায় না। এর ওপর আবার ইটভাটা মালিকদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাটি কিনতে হচ্ছে তাদের।

এসএস/এমএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।