শেরপুরে আতঙ্কে সীমান্তের অদিবাসীরা


প্রকাশিত: ০১:৫৬ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৭

শেরপুরে বন্যহাতির আতঙ্কে রয়েছেন সীমান্তের অধিবাসীরা। পাহাড় থেকে বন্যহাতির দল খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে এসে ক্ষেতের আবাদি ফসল বিনষ্ট করছে। উঠতি বোরো ও সবজির আবাদ নিয়ে সীমান্তের অধিবাসী কৃষকরা দারুণ শঙ্কার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।

শুক্রবার রাতে ভারতের মেঘালয় সীমান্তের বারেঙ্গাপাড়া ঝালোপাড়া পাহাড় থেকে ভোগাই নদীর তীর দিয়ে প্রায় অর্ধশত বন্য হাতি নালিতাবাড়ীর রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের কালাকুমা গ্রামের সমতলে নেমে আসে। এসময় ওই গ্রামের কৃষক মুছা মিয়া, জহুর উদ্দিন, শাজাহান আলী, আবু সামা ও বাবু মিয়ার এক একর বোরো আবাদ ও আবু সামার ৩৩ শতক বেগুন ক্ষেত খেয়ে সাবাড় করে।

তাছাড়া অনেক জমির আবাদ পায়ে মাড়িয়ে হাতির দল বিনষ্ট করেছে। হাতির দলটি গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক নারিকেল গাছের চারা ভেঙে ফেলেছে। পরে এলাকাবাসী মশাল জ্বালিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করে সনাতন পদ্ধতিতে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করলে রাত তিনটার দিকে হাতির দলটি সীমান্ত পার হয়ে ভারতে অবস্থান নেয়।

বর্তমানে ভারতের মেঘালয় সীমান্ত বারেঙ্গাপাড়ার ঝালোপাড়া পাহাড়ে বন্যহাতির দলটি অবস্থান করছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।

শনিবার রাতে ফের বন্যহাতির দল লোকালয়ে হানা দিতে পারে বলে তারা আতঙ্কে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। গত ২০ মার্চ নালিতাবাড়ীর পোড়াগাও ইউনিয়নের পশ্চিম সমশ্চুড়া কোচপাড়া গ্রামে বন্য হাতির দল হানা দিয়ে সেখানকার উঠতি বোরো আবাদ ও সবজি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে।

কালাকুমা গ্রামের কৃষক মুছা মিয়া বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টা থেকে প্রায় ৪০-৫০টা হাতির দল আমাদের গ্রামে নামে। আমাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। পরে গ্রামবাসী সবাই মিলে মশাল জ্বালিয়ে শেষ রাতের দিকে হাতি তাড়িয়েছি।

নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরফদার সোহেল রহমান বলেন, হাতি আক্রমণে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জেনেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি দেখে সহায়তা করা হবে।

হাকিম বাবুল/এমএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।