বৈসাবি-বৈশাখীতে পাহাড়ে আনন্দের বন্যা
পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি (বৈসুক, সাংগ্রাইং, বিজু) আর বাঙালির প্রাণের উৎসব বৈশাখী। বর্ণিল এ দুই উৎসবে একাকার হয়ে মেতেছে পাহাড়ি বাঙালি। উৎসবে রাঙিয়েছে পার্বত্য তিন জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান। পাহাড় জুড়ে বয়ে গেছে আনন্দের বন্যা।
নববর্ষের প্রথমদিন রাঙামাটির পর্যটন স্পটগুলোতে ঢল নামে বিপুল পর্যটকের। বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের পাশাপাশি পাড়ি জমান স্থানীয়রাও। এতে মুখর হয়ে ওঠে পর্যটন কমপ্লেক্সের ঝুলন্ত সেতুসহ আশেপাশের স্পটগুলো।
রাঙামাটিসহ পাহাড়ে ২৯ চৈত্র (বুধবার) শুরু হয়ে নানা আচার অনুষ্ঠানে শুক্রবার শেষ হয়েছে পাহাড়িদের প্রাণের উৎসব তিন দিনব্যাপী বৈসাবি। প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তি পুরানকে বিদায় এবং নতুনের প্রার্থনায় তিনদিনের এই সামাজিক উৎসব পালন করে পাহাড়ি জনগণ। 
এদিকে নববর্ষের প্রথমদিন শুক্রবার বৈসাবির সঙ্গে একাট্টা হয় বর্ষবরণ উৎসব। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে রাঙামাটি শহরের প্রধান সড়কে বের করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি পৌরসভা চত্বর থেকে শুরু হয়ে জেলা প্রশাসন কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়। এতে অংশ নেন, সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, নারী এমপি ফিরোজা বেগম চিনু, জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসানসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ। শোভাযাত্রা শেষে জেলা প্রশাসনের প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 
একই দিন বৈসাবির শেষ দিবসে উদযাপিত হয়েছে চাকমাদের গোজ্যেপোজ্যে, মারমাদের সাংগ্রাইং আপ্যাইং এবং ত্রিপুরাদের বিসিকাতাল। তার মধ্যে দিয়েই শেষ হয় তিনদিনের বৈসাবি।
এছাড়া শনিবার থেকে রাঙামাটিসহ বিভিন্ন স্থানে সপ্তাহব্যাপী শুরু হয়েছে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাইং জলোৎসব। রোববার জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সার্বজনীন জলোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
এফএ/এমএস