সেনা সদস্য চঞ্চলের মায়ের আহাজারি


প্রকাশিত: ০২:১৮ পিএম, ১৪ জুন ২০১৭

রাঙামাটির মানিকছড়িতে পাহাড়ধসে নিহত সেনা সদস্য শাহীন আলম চঞ্চলের (৩২) বগুড়ার আদমদীঘির ধনতলা গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। বুধবার বিকেলে সেনা হেফাজতে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়।

এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ সেনা সদস্যের মরদেহ একনজর দেখা ও সমাহিত করার অপেক্ষায় রয়েছেন গ্রামের মানুষ।

বগুড়া সেনানিবাসের ওয়ারেন্ট অফিসার সুলতান মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, বুধবার বিকেলে সৈনিক চঞ্চলের মরদেহ সেনা হেফাজতে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছানো হয়।

পারিবারিক সূত্র জানায়, শাহীন আলম চঞ্চল বগুড়ার আদমদীঘির ধনতলা গ্রামের কৃষক সারোয়ারদীর একমাত্র ছেলে। তিনি ২০০৬ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ২০১২ সালে চমন বেগম নামে এক পুলিশ সদস্যকে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী বর্তমানে ময়মনসিংহে র্যাবে কর্মরত আছেন। তাদের সংসারে আবু তাহা নামে ৫ বছর বয়সী শিশুপুত্র রয়েছে।

নিহত চঞ্চলের বাবা সারোয়ারদী বলেন, মঙ্গলবার সকালেও মোবাইল ফোনে ছেলের সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা হয়। বিকেল ৩টার দিকে বগুড়া সেনানিবাস থেকে ফোনে জানানো হয় তার ছেলে পাহাড় ধসে মারা গেছেন।

একমাত্র ছেলে হারিয়ে প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন মা সেলিনা বেগম। পরিবারের সদস্যরা জানান, জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে। তবে সময় নির্ধারণ হয়নি।

গতকাল মঙ্গলবার মানিকছড়িতে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে পাহাড় থেকে ধসে পড়া মাটি অপসারণ করতে গিয়ে চঞ্চলসহ সেনাবাহিনীর ৪ সদস্য মারা যান।

প্রসঙ্গত, টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম বিভাগের তিন জেলায় ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর ধসে পড়া পাহাড়ের মাটি সরিয়ে হতাহতদের উদ্ধারে দ্বিতীয় দিনের অভিযান শুরু করেছেন উদ্ধারকর্মীরা।

দুদিনের টানা বর্ষণে রাঙামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে এবং গাছ চাপায় ১৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন সেনা সদস্যও রয়েছেন।

এএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।