মাগুরায় কয়েক কোটি টাকার লিচু ব্যবসার সম্ভাবনা


প্রকাশিত: ০৭:০৫ এএম, ২৩ মে ২০১৫

মাগুরা সদর উপজেলার ইছাখাদা, হাজরাপুর, মিঠাপুর, আঠারখাদা, মঘী, কাশিনাথপুর গ্রামে ৫২৫ হেক্টর জমিতে চায়না-৩, হাজরাপুর, মোজাফ্র ও বোম্বাই জাতের লিচুর চাষ হয়েছে। বর্তমানে মাগুরার লিচু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। হাজরাপুর জাতের লিচু দ্রুত পেকে যাওয়ায় বিদেশেও এই লিচুর চাহিদা রয়েছে। এবার ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার লিচুর ব্যবসা করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

লিচুর সময়ে ব্যস্ত দিন পার করেন গ্রামের গৃহবধূরা। বাদ পড়ে না স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরাও। তারা প্রত্যেকেই অর্থ ও খাবারের বিনিময়ে কাজে করে দেন এসব বাগানে।

লিচু চাষিরা জানান, অন্যান্য ফসলের তুলনায় লিচু চাষে অধিক লাভ হওয়ায় এ বছর হাসি ফুটেছে মাগুরার কৃষকদের মুখে। কারও কারও বাগান বিক্রি হবে এবার ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকায়। এসব লিচু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

ঢাকার পাইকার (ব্যবসায়ী) ছলিমুল হক জাগো নিউজকে জানান, লিচুর স্বাদ, রং, আকার ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা লিচু কিনতে মাগুরা আসেন। চায়না ৩, মোজাফ্র, হাজরাপুরসহ বোম্বাই জাতের লিচু আগাম ওঠে বলে এতে লাভ হয় অধিক গুণ।

এসব উন্নত ও সুস্বাদু জাতের লিচু চাষিদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা গেলে এবং বাজার ব্যবস্থা আরো উন্নত করা গেলে মাগুরায় দিন দিন লিচু চাষের প্রসার ঘটবে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সুব্রত কুমার চক্রবর্ত্তী।

মো. আরাফাত হোসেন/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।