ইয়াবা বহন না করায় সাপুড়েকে মারধর, কাউন্সিলর রূপা গ্রেফতার
ইয়াবা বহনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মান্না পাহাড়ি নামে এক সাপুড়েকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় বরিশাল নগরীর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসরাত আমান রূপাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে নগরীর ব্রাউন্ড কম্পাউন্ড দ্বিতীয় লেনের রূপার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানায় আহত সাপুড়ে মান্না পাহাড়ির স্ত্রী কাজল বেগম বাদী হয়ে ইসরাত আমান রূপাসহ ছয় যুবলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আহত মান্না পাহাড়ি বর্তমানে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মামলায় নগরীর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর (১৬, ১৭ ও ১৮) ইসরাত আমান রূপাকে হুকুমের আসামি করা হয়।
অন্য আসামিরা হলেন নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়া সড়কে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী তরিকুল ইসলাম রাজা, সরজিৎ চন্দ্র রায় ওরফে সবুজ, মো. ফিরোজ,মাসুদ মোল্লা ও রফিকুল ইসলাম বাদশা।
মান্নার স্ত্রী কাজল বেগম জাগো নিউজকে বলেন, কয়েক মাস আগে মান্নাকে সাপের বাক্সে কক্সবাজার থেকে ইয়াবা বহনের প্রস্তাব দেয় যুবলীগ কর্মী রাজা ও কাউন্সিলর রূপা।
এতে রাজি না হওয়ায় তাকে হুমকি দেয় রাজা ও রূপা। ওই সময় মান্না কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত সোমবার রাতে রূপার নির্দেশে রাজা ও তার সহযোগীরা মান্নাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর হামলা চালায়।
এ সময় যুবলীগ কর্মী রাজার নেতৃত্বে বাদশা, ফিরোজ, মাসুদ, সবুজ, নাসিরসহ কয়েকজন ধারাল অস্ত্র নিয়ে মান্না পাহাড়ির শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে। তাকে মৃত ভেবে হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পরও স্থানীয় লোকজন ভয়ে উদ্ধার করতে যায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মান্নাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই সত্য রঞ্জন খাসকেল জাগো নিউজকে কাউন্সিলর রূপাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. রেজাউল ইসলাম শাহ’র নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল কাউন্সিলর ইসরাত আমান রূপার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
সাইফ আমীন/এএম/জেআইএম