পাহাড়ধস : বন্ধ হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো
আগামী ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটিতে খোলা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো। সরকারি বরাদ্দের খাবার ও ত্রাণ শেষ হয়ে যাওয়ায় এমন চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান।
জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ঈদুল আজহার আগে আশ্রিতদের সংখ্যাও কমিয়ে আনা হবে। ১৩ জুনের ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনায় স্বজন ও বাড়িঘর হারা ক্ষতিগ্রস্তসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাস করা লোকজনের আশ্রয়ে শহরে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। পরে অনেকে কেন্দ্র ছেড়ে চলে যাওয়ায় কমিয়ে চালু রাখা হয় ৬টি আশ্রয় কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রে এখনও ১২শ ৩১ জন রয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের সরকারি বরাদ্দ প্রায় শেষ। আশ্রয়কেন্দ্র আর বেশিদিন চালানো সম্ভব নয়। তাই ঈদুল আজহার আগে যারা কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং যাদের বাড়িঘর মেরামত করে ফিরে যাওয়ার অবস্থা রয়েছে আজকালের মধ্যে তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়তে বলে দেয়া হয়েছে। তবে যাওয়ার সময় তাদের প্রত্যেক পরিবারকে ঢেউটিন, অর্থ ও কিছু খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। আর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত এবং যাদের থাকার মতো আর কোথাও জায়গা নেই, তাদেরকে জায়গা খুঁজে পাওয়া গেলেই বাড়িঘর করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আশ্রয় কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে। শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ত্রাণ ও দুর্যোগ কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেও জানান।
১৩ জুন পাহাড়ধসে রাঙামাটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। প্রাণহানি ঘটে ১২০ জনের। সম্পূর্ণ ও আংশিক মিলে বিধ্বস্ত হয় ১৮শ বাড়িঘর। এছাড়া রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কসহ জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বিঘ্নিত হয় সড়ক যোগাযোগ। যার মেরামত কাজ এখনও চলছে। এরইমধ্যে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক সচল করা হলেও মেরামত সম্পন্ন হয়নি।
সুশীল চাকমা/এফএ/আইআই