রাঙামাটিতে এখনো জমেনি পশুহাট
পশুহাট এখনও জমেনি রাঙামাটিতে। তবে জেলার বাইরে যাচ্ছে পাহাড়ি গরু। শহরের পৌর ট্রাক টার্মিনালের পশুহাটে গিয়ে দেখা যায় বাজারে প্রচুর পাহাড়ি গরু আসতে শুরু করেছে। রিজার্ভ বাজারের শুটকি পল্লীর হাটে কোনো পশু আনা হয়নি। সেখানে আজ রোববার থেকে পশুর হাট বসবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, রাঙামাটি শহরে এবার পশুহাট বসানো হয়েছে মাত্র দুইটি। পৌরসভা থেকে ইজারা নিয়ে বসানো হয়েছে পৌর ট্রাক টার্মিনালের পশুর হাট এবং জনগণের সুবিধার জন্য নিজেদের উদ্যোগে রিজার্ভ বাজারের শুটকি পল্লীর পশুর হাট বসিয়েছে রিজার্ভবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।
এ বাজার ব্যবসায়ীকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন এবং সহ-সভাপতি বিমল বড়ুয়া জানান, স্থানীয় জনগণের সুবিধায় প্রতি বছর স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী সমিতি নিজেদের উদ্যোগে এ হাটটির ব্যবস্থাপনা করে থাকে। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ে নিজেদের সুবিধামতো এ হাটে পশু কেনাবেচা করতে পারে। সেখানে দালালদের কোনো রকম উৎপাতের সুযোগ থাকে না।

পৌর ট্রাক টার্মিনালের পশুহাটে গিয়ে কথা হলে বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয়ভাবে বেচাকেনা জমেনি। শনিবার বিকেল পর্যন্ত সব মিলিয়ে খুব বেশি হলে ৭-৮টি গরু বিক্রি হয়েছে। তাও সুলভে। তবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা গরু কিনে ট্রাকে ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ জেলার বাইরে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, পাইকারি দরে অনেক গরু বিক্রি হচ্ছে। সেগুলো পাইকাররা ট্রাকে ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছেন বাইরে। শনিবার প্রায় ২০০-৩০০ গরু চট্টগ্রাম নেয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ী মো. জাফর বলেন, ওই হাটে শনিবার বিকেল পর্যন্ত প্রচুর গরু আনা হয়েছে। আরও প্রচুর গরু আসবে। এগুলো সব স্থানীয় পাহাড়ি গরু। তিনি ১০০ গরু এনছেন বাজারে। তবে একটিও বেচতে পারেননি। দু'এক দিনের মধ্যেই কেনাবেচা জমবে বলে আশা করছেন তিনি।
স্থানীয় বিক্রেতা পরিমল ঘোষ বলেন, তিনি সদরের বালুখালী এলাকা থেকে ৫টি গরু বিক্রির জন্য এনেছেন। ক্রেতারা দাম যাচাই করছেন, কিন্তু এখনো কিনছেন না।
সুশীল চাকমা/এফএ/এমএস