রাঙ্গামাটিতে ছয় ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাঙ্গামাটি
প্রকাশিত: ০২:৩৬ পিএম, ১৪ জুন ২০১৮

জেলা প্রশসন হতে নৌ রুটে নতুন লঞ্চ চলার অনুমতিকে কেন্দ্র করে লঞ্চ, বাস ও সিএনজি মালিক সমিতি রাঙ্গামাটি নৌ ও সড়ক পথে সকাল সাতটা থেকে সকল প্রকার যানচলাচল বন্ধ রেখেছিলো পরে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা পরে চালু হয়েছে সকল যান চলাচল। হঠাৎ যানবাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছে ঈদে বাড়ি ফেরা হাজারো মানুষ।

বৃহস্পতিবার সকাল তানিয়া নামের একটি লঞ্চ রাঙ্গামাটি লঞ্চ ঘাটে যাত্রী উঠানোর জের ধরে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রেখেছিলো মালিক সমিতি। এ সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট নৌকার লাঞ্চের সাধারণ যাত্রীরা বাড়ি ফিরছিলো। লঞ্চের এই ঝামেলাকে কেন্দ্র করে মালিক সমিতি দূর পাল্লার বাস ও শহরের অভ্যন্তরীণ একমাত্র পরিবহন সিএনজিও বন্ধ রেখেছিলো।

Rangamat

এ সময় ঈদে ঘরে ফেরা এবং ঈদের বাজার করতে বের হওয়া হাজারো মানুষ রাস্তায় আটকে পড়ে। এ কারণে ক্ষোপ প্রকাশ করেন তারা।

লংগদুতে ঈদে বাড়ি ফেরা তাহমিনা আক্তার বলেন, লঞ্চ বন্ধ হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট্ট নৌকা করে বাড়ি যাচ্ছি। নদীতে প্রচুর স্রোত তাই ভয়ও লাগছে। কিন্তু কী করবো? হঠাৎ করে তারা যে লঞ্চ বন্ধ করে দিয়েছে। ঈদের আগে মানুষজন এখন বাড়ি ফিরছে এমন সময় লঞ্চ মালিকদের নিজেদের ঝামেলার জন্যে কত মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে তারা।

Rangamat

শহরের বনরূপায় ঈদের কেনাকাটা করতে বের হওয়া জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন আজ পরিবেশও ভালো, তাই ভাবলাম কেনাকাটা করতে যাবো। কিন্তু ঘর থেকে বের হয়ে দেখি সিএনজি চলছে না। এটা কেমন কথা? লঞ্চ নিয়ে ঝামেলা কিন্তু শহরের অভ্যন্তরীণ একমাত্র যানবাহন সিএনজিও কেন বন্ধ রাখতে হবে।

লঞ্চ, বাস মালিক সমিতি সভাপতি মাঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, হঠাৎ করে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসন মৌখিকভাবে একটি লঞ্চ চলার অনুমতি দেয়। আমরা বারবার জেলা প্রশাসককে বলেছি ঈদের আগে অনুমতি না দেয়ার জন্য কিন্তু তিনি হঠাৎ করে অনুমতি দেয়া সকালে লঞ্চ ঘাটে যাত্রী তোলা নিয়ে অন্য লঞ্চের শ্রমিকের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তিনি আরও বলেন, অবৈধ লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে, আহত শ্রমিকের চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যে আমরা প্রশাসনকে দাবি জানাই পরে তারা আমাদেরকে আশ্বাস দিলে আমরা ছয় ঘণ্টা পরে সকল যান চলাচলা আবারও চালু করেছি।

Rangamat

রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম শফি কামাল বলেন, আমরা লঞ্চ, বাস ও সিএনজি মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সব কিছু স্বাভাবিক। তিনি আরও বলেন, এই বিষয়ে আমরা তাদের সর্তক করেছি যাতে আর কোনো দিন সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে সুবিধা আদায়ের চেষ্টা না করে।

সাইফুল উদ্দীন/আরএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।