হাসপাতালে রোগী দেখতে গিয়ে স্কুলছাত্রীর সর্বনাশ
নড়াইল সদর হাসপাতালে এক স্কুলছাত্রীর নগ্ন ছবি ধারণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে হাসপাতালের টয়লেটে এ ঘটনা ঘটে।
আসামিরা হলেন- সদর হাসপাতাল এলাকার বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালক শহরের ভওয়াখালীর সেকেন্দার আলী আকাশ (২২), হাসপাতালের সুইপার হরেনের ছেলে বাসু (৩০), সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুরের ইয়ামিন সিকদার (২১), হোসেনপুরের আজিজুর রহমান (২২), ভওয়াখালীর সাব্বির হোসেন (২৫), হুসাইন (১৯) ও ভওয়াখালীর দেবদারতলার হোটেল কর্মচারী ইনামুল (১৯)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, অসুস্থ এক আত্মীয়কে দেখতে গিয়ে শুক্রবার সদর হাসপাতালে অবস্থান করছিল অষ্টম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী। ওইদিন বিকেলে সে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার উত্তর পাশের টয়লেটে যায়। এ সময় ইয়ামিন সিকদার, বাসু ও আকাশ টয়লেটের সামনে ঘোরাফেরা করছিল। পরবর্তীতে টয়লেট থেকে বের হওয়ার জন্য মেয়েটি দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত তিনজন তাকে বাধা দিয়ে টয়লেটের ভেতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোবাইলে নগ্ন ছবি তুলে টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় তারা। এ কাজে অন্য আসামিরা সহযোগিতা করে। একপর্যায়ে টয়লেটের কাছে লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা মেয়েটিকে নগ্ন অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
হাফিজুল নিলু/আরএআর/জেআইএম