ভাষাসৈনিক সৈয়দ আব্দুল হান্নান আর নেই

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শেরপুর
প্রকাশিত: ০৯:৪৪ এএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৯

শেরপুরের ভাষাসৈনিক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ আব্দুল হান্নান (৮৭) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার ভোরে রাজধানী ঢাকার সিটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় শেরপুর পৌর ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে ভাষাসৈনিক সৈয়দ আব্দুল হান্নানের মরদেহ শহরের মধ্যশেরি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

ভাষাসৈনিক সৈয়দ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানুসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ভাষা সংগ্রামী ও প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ হিসেবে সৈয়দ আব্দুল হান্নান শেরপুরের একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। স্থানীয়ভাবে যিনি ‘হান্নান স্যার’ হিসেবে সমধিক পরিচিত।

সৈয়দ আব্দুল হান্নান ১৯৩২ সালে ২৫ ডিসেম্বর শেরপুরে জন্ম গ্রহন করেন। বাবা সৈয়দ আব্দুল হালিম, মা রাবেয়া খাতুন। ১৯৫২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র থাকা অবস্থায় ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার দাবিতে মিছিল চলাকালে তিনি ও পরে তার বড় ভাই ছাত্রনেতা সৈয়দ আব্দুস সাত্তার গ্রেফতার হন।

১৯৫২ সালে বগুড়ার আজিজুল হক কলেজ থেকে তিনি আইএসসি পাস করে ওই বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৫৬ সালে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে মাস্টার্স এবং ১৯৬৪ সালে এলএলবি পাস করেন। তিনি ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুথান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শেরপুরের বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সহায়তা করার অপরাধে তাকে তিন বার গ্রেফতার করে প্রায় ৪ মাস জেলে রাখা হয়।

হাকিম বাবুল/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।