জনপ্রতিনিধির খবর নেই, রাস্তা সংস্কারে নামলো এলাকাবাসী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ০৪:৪৮ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৯

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলা ক্লাব মোড় থেকে মাছখোলা বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ দুই কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কর্মকর্তাদের কোনো উদ্যোগ নেই। তাই স্থানীয় প্রত্যাশা ক্লাবের সভাপতি আলাউদ্দিনের অর্থায়নে ক্লাবের যুবকরা রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। বুধবার সকাল ১০টা থেকে রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু হয়।

মাছখোলা এলাকার স্থানীয় জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, রাস্তাটির অবস্থা খুবই বেহাল। অথচ কোনো জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কর্মকর্তা ১৯ বছরেও রাস্তাটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ২০০০ সালে বন্যার পর রাস্তাটি ভেঙে যায়। তারপর থেকে কোনো সংস্কার কাজই করা হয়নি জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তায়। এই রাস্তায় কোনো যানবাহনই চালানো যায় না। হেঁটে গেলেও উল্টে পড়ে কেউ কেউ।

একই এলাকার শামীম হোসেন বাবু বলেন, নির্বাচনের সময় অনেকে প্রার্থী এসে রাস্তা সংস্কারের জন্য ওয়াদা করলেও কেউ কথা রাখেননি। মাছখোলা ক্লাব মোড় থেকে মাছখোলা বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তায় বড় বড় গর্ত আর খানা-খন্দ।

স্থানীয় মাছখোলা প্রত্যাশা ক্লাবের সভাপতি আলাউদ্দিন বলেন, আমাদের এ রাস্তাটি অনেক অবহেলিত। এটি সংস্কারে কারও উদ্যোগ নেই। তাই নিজস্ব অর্থায়নে ক্লাবের ১০১ জন যুবকদের দিয়ে ইট, বালু ও খোয়া ফেলে রাস্তাটি সংস্কারের চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, এলাকার হাজার হাজার মানুষের শহরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। রাস্তা খারাপ থাকায় এলাকার কোনো মানুষ অসুস্থ হলেও তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয় না। আমাদের ভাগ্য খারাপ তাই নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই বদলানোর চেষ্টা করছি।

রাস্তাটির সংস্কারের বিষয়ে জানতে স্থানীয় ব্রাহ্মরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ানম্যান শহিদুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে ২নং ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর ইসলাম মাগরিব জাগো নিউজকে বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই টেন্ডার হয়ে কাজ শুরু হবে। ইতিপূর্বে একবার টেন্ডার আহ্বান হয়েছিল কিন্তু ইটের দাম বেশি থাকায় কেউ টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করেনি।

আকরামুল ইসলাম/আরএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।