সেতু হচ্ছে খুলনার ভৈরব নদীতে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক খুলনা
প্রকাশিত: ০১:২৬ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯

উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরও একটি বড় পদক্ষেপে খুলনার ভৈরব নদীর ওপর নির্মিত হবে স্বপ্নের ‘ভৈরব সেতু’। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) একনেকে এ সেতু প্রকল্পটি পাস হয়। ৭৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হবে অত্যাধুনিক ডিজাইনে। এ জন্য শিগগিরই অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে এর কাজ শুরু হবে। একনেকের সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সেতুটি দিঘলিয়া, আড়ুয়া, গাজিরহাট ও তেরখাদা সড়কের প্রথম কিলোমিটারে ভৈরব নদীর ওপর নির্মিত হবে। যার মোট দৈর্ঘ্য হবে ১ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯৬ মিটার। সেতুর সঙ্গে এক কিলোমিটার এপ্রোচ রোড, দুই পাশে ৫ মিটার করে ১০ মিটার সার্ভিস রোড এবং ডিভাইডার নির্মাণ করা হবে।

এদিকে প্রকল্পটি পাস হওয়ার খবরে উচ্ছাসে মেতে উঠেছে স্থানীয়রা। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমানকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন তারা।

জানা গেছে, প্রায় সাড়ে ৫ বছর নিরলস চেষ্টার পর মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভায় ‘ভৈরব সেতু নির্মাণ প্রকল্প’ পাস হয়। এর আগে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ভৈরব সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠান। এরপর ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে তৎকালীন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের কাছেও তিনি প্রস্তাব পাঠান। সেই সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে আবারও ডিও লেটার দেন।

এসব প্রস্তাবে ড. মসিউর রহমান উল্লেখ করেন, খুলনার দিঘলিয়া ও দৌলতপুর এ দুই উপজেলা ভৈরব নদী দ্বারা বিভক্ত। জীবন-জীবিকা ও অন্যান্য প্রয়োজনে উভয় উপজেলার বাসিন্দাদের সব সময় নদী পারাপার হতে হয়। এছাড়া প্রতিদিন বহু শিক্ষার্থী লেখাপড়ার জন্য নদী পারাপার হয়। তাই জীবন-জীবিকা ও লেখাপড়ার জন্য ভৈরব নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ একান্ত প্রয়োজন।

পরবর্তীতে তার প্রস্তাবে সাড়া দেয় উভয় মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় অনুসাঙ্গিক কর্যক্রম সম্পন্ন করে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) একনেকে ভৈরব সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি পাস হয়।

ড. মসিউর রহমানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এম এ রিয়াজ কচি বলেন, ২০১৪ সালে অর্থ উপদেষ্টা ওই এলাকা পরিদর্শন করেন। সে সময় তিনি এলাকার লোকজনের কারে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানতে চান। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন ভৈরব নদীর ওপর একটি সেতু হলে দু’পারের মানুষেরই জীবন-জীবিকা ও শিক্ষার উন্নতি হবে। এরপর তিনি ভৈরব সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন।

খুলনা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম জানান, আগামী ৪ বছরের মধ্যে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সেতুটি নির্মাণ হলে এলাকায় শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে, পূর্বে প্রতিষ্ঠিত জুট মিলগুলো চাঙা হবে। কর্মসংস্থানের মাধ্যমে এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। এছাড়া ঢাকার সঙ্গে একটি কানেক্টিভিটিও তৈরি হবে।

আলমগীর হান্নান/এমএমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।