থার্মাল স্ক্যানার নেই, সিভিল সার্জন বললেন থার্মোমিটারেই হবে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
প্রকাশিত: ০৮:৫০ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২০

নড়াইলে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এখনও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। করোনা শনাক্তে বিশেষ কোনও ব্যবস্থাও নেই। তবে এটি মোকাবিলায় সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো এবং সাধ্যমতো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলে করোনা শনাক্তে কোনও কিটস এবং থার্মাল স্ক্যানার নেই। করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জেলা-উপজেলা পর্যায়ে করোনা ইউনিট তৈরির নির্দেশ দিলেও সেটি করা হয়নি। যা হয়েছে তা সামান্য।

এছাড়া জেলার কোনও সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে অত্যাধুনিক আইসিইউ সুবিধা নেই। বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করা এবং কোয়ারেন্টাইনে রাখার তেমন কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি।

নড়াইলের সিভিল সার্জন মো. আব্দুল মোমেন বলেন, করোনা মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সাধ্যমতো সদর হাসপাতালে ১০টি, কালিয়া উপজেলা হাসপাতালে পাঁচটি এবং লোহাগড়া হাসপাতালে পাঁচটি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি মেডিকেল টিম, একটি র্যাপিড রেসপন্স টিম, তথ্য আদান-প্রদানের জন্য একটি কন্ট্রোল টিম গঠন করা হয়েছে।

করোনাভাইরাস পরীক্ষার থার্মাল স্ক্যানারের তেমন প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে সিভিল সার্জন মো. আব্দুল মোমেন বলেন, এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে থার্মোমিটার দিয়ে পরীক্ষা করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, করোনা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কেউ বিদেশ থেকে এলে নিজে নিজে ১৪ দিন একা একা থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কারা বিদেশ থেকে আসছে এ তথ্য জানার ক্ষেত্রে কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভূমিকা রাখতে পারবে। এছাড়া সদর হাসপাতালের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। করোনা শনাক্তের জন্য আইইডিসিআরের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

হাফিজুল নিলু/এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।