করোনা থেকে রক্ষা পেতে সিলেটের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজারসহ সিলেটের সব মসজিদে জুমার নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে।
শুক্রবার বাদ জুমা দরগাহ হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার মসজিদে করোনাভাইরাস থেকে বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বের মানুষদের হেফাজতে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। হাজার হাজার মুসল্লি এই মোনাজাতে অংশ নেন।
এদিকে অন্য দিনের মতো হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার এবং আশপাশ এলাকায় ভক্তদের উপস্থিতি ছিল তুলানামূলক কম। জুমার নামাজও অন্য দিনের তুলনায় সংক্ষিপ্ত আকারে শেষ করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকায় লোক সমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম মিঞা মাজার কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সরকারি নির্দেশনা মেনে জনসমাগম সরানোর কথা জানান।
বৃহস্পতিবার রাতে মাজার কমিটির সঙ্গে বৈঠকে মাজার কমিটির পক্ষ থেকে মানবিক দিক বিবেচনায় জড়ো হওয়া ভক্তদের রাত পর্যন্ত থাকার অনুমতি চান। সকাল হলেই সবাইকে সরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন।
এদিকে শুক্রবার সকালে মাজার এলাকা থেকে লোক সমাগম সরিয়ে দেয় পুলিশ। মাজারে আগত ভক্তদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সরকারি নির্দেশনার কথা জানিয়ে জনস্বার্থে মাজার এলাকা ত্যাগ করার অনুরোধ করছেন পুলিশ ও মাজার কমিটির নেতারা।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম মিঞা জানান, দেশে করোনাভাইরাসে জনসচেতনতা প্রয়োজন। আমরা বিভিন্ন জায়গায় গণসমাগম করতে নিষেধ করেছি। হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারসহ কোনো জায়গায় লোক সমাগম হতে দেয়া যাবে না।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সারা দেশে সব ধরনের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে সব ধরনের ওয়াজ মাহফিল ও তীর্থযাত্রা বন্ধ করারও নির্দেশ দেয়া হয়।
ছামির মাহমুদ/এমএসএইচ/জেএইচ/পিআর