ভয়ে সেবা দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা, বিপদে রোগীরা
হাসপাতাল বা চেম্বারে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন না ভৈরবের চিকিৎসকরা। করোনা আতঙ্কে বেসরকারি চেম্বারেও কদিন যাবত বসছেন না তারা। সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও সর্দি, কাশি বা শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা নিতে গেলে রোগীদের আইইডিসিআর’র হটলাইনে ফোন করে চিকিৎসা নিতে বলা হচ্ছে। এমনকি প্রসব বেদনা নিয়ে অনেক নারী হাসপাতালে গেলে তাদেরও চিকিৎসা দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বিপদে পড়েছেন রোগীরা।
ভৈরবে প্রায় ২০টি প্রাইভেট হাসপাতাল রয়েছে এবং ডাক্তাদের বেসরকারি চেম্বার আছে ৮/১০টি। গত কয়েকদিন যাবত ২-১ বেসরকারি চেম্বার ছাড়া বাকিগুলিতে বসছেন না চিকিৎসকরা। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে আল-শেফা হাসপাতালে ডা. এ বি সিদ্দিক ও সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. মিজানুর রহমানের সীমিত আকারে রোগী দেখার খবর পাওয়া গেলেও সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের রোগীর চিকিৎসা দেয়া থেকে বিরত রয়েছেন। এ ধরনের রোগী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলেও একই কথা বলা হচ্ছে।
গ্রাম থেকে আসা জসীম উদ্দিন বলেন, ছেলে গত কদিন যাবত জ্বর সর্দিতে ভুগছে। কিন্ত কোনো ডাক্তার খুঁজে পাচ্ছি না। তাই ফার্মেসি থেকে প্যারাসিটামল ও এন্টিবায়োটিক কিনে খাওয়াচ্ছি। কিন্ত জ্বর কমছে না।
সেলিম নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার বোন গর্ভবতী। তার ডেলিভারির তারিখ ছিল বৃহস্পতিবার কিন্ত সরকারি হাসপাতালসহ কোনো হাসপাতালই তার সিজার করতে রাজি হয়নি। বাধ্য হয়ে বাজিতপুর নিতে হয়।
সেন্ট্রাল হাসপাতালের ব্যবস্হাপনা পরিচালক ডা. মিজানুর রহমান জানান, মানবিক কারণে আমার হাসপাতালে রোগীদের নরমাল রোগের চিকিৎসা দিচ্ছি। তবে ডাক্তাররাও মানুষ, তাদের সুরক্ষার জন্য পিপিই না দিলে তারা কিভাবে চিকিৎসা দেবেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জানান, করোনাভাইরাস আতঙ্কে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের রোগী হলে তিনি হটলাইল নম্বরে ফোন করে চিকিৎসা নিতে বলেন। ডাক্তারদের পিপিই না থাকার কারণে অনেক হাসপাতাল চিকিৎসা বা অপারেশন করছে না বলে তিনি স্বীকার করেন।
আসাদুজ্জামান ফারুক/এফএ/এমএস