দাদির জন্য ওষুধ কিনতে গিয়ে মেয়রের তোপের মুখে স্কুলছাত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী
প্রকাশিত: ০৭:১৬ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২০

করোনা পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি অসুস্থ দাদির জন্য ওষুধ কিনতে বের হয়ে রাস্তায় পৌর মেয়র ও তার লোকজনের মারধরের শিকার হলো স্কুলছাত্র আবরার ইয়াসির (১৪)।

গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার পুঠিয়া-আড়ানী সড়কের পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে অভিযোগ উঠেছে পূর্বশত্রুতার জেরে ওই কিশোরকে মারধর করেছে মেয়র ও তার লোকজন।

মারধরের শিকার ওই কিশোর পৌর এলাকার মহিরুল ইসলামের ছেলে ও পুঠিয়া পিএন সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার সামনে মেয়র রবিউল ইসলাম রবি ওই কিশোরকে থামার নির্দেশ দেন। পরে ওই কিশোর মোটরসাইকেল থামানো মাত্র সেখানে উপস্থিত তার কর্মচারী সুমন তাকে মারধর করে। পরে তার মোটরসাইকেলটি কেড়ে নেয়া হয়।

ইয়াসিরের বাবা মহিরুল ইসলাম বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে মেয়র আমার ছেলেকে মারধর করেছে। পূর্ব থেকেই মেয়রের সঙ্গে আমার ব্যবসা সংক্রান্ত টাকা-পয়সা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জের ধরে আমার ছেলেকে মারধর করে মোটরসাইকেল কেড়ে নিয়েছে। তিনি এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করে গত বুধবার রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

তবে মারধর করার বিষয়টি অস্বীকার করে পৌর মেয়র রবিউল ইসলাম বলেন, ছেলেটি বেপরোয়াভাবে সড়কে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল। এক পর্যায়ে সে পৌরসভার সামনের দেয়ালের সঙ্গে এক্সিডেন্টে করে আহত হয়। পরে পৌরসভার কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করেছে এবং মোটরসাইকেলটি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

এ ব্যাপারে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, ছেলেটি পুঠিয়া আড়ানী সড়কে রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল। পৌরসভার লোকজন মোটরসাইকেলটি ধরে আমাদের খবর দিয়েছেন। আমরা ওই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে একটি মামলা দিয়েছি। তবে ওই কিশোরের বাবা বাদী হয়ে পৌর মেয়রসহ দুইজনের বিরুদ্ধে তার ছেলেকে মারধর করার অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

ফেরদৌস/এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।